সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অমৃতসরের দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬০। উৎসবের আনন্দের বদলে রাজ্যজুড়ে হাহাকার এবং বিষাদের ছায়া। এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোকপ্রকাশ করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডু| টুইট করে মৃত ও আহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
My thoughts are with everyone who has lost a loved one in the tragic train crash in Amritsar, India. Canadians are keeping you in our hearts tonight & wishing all those injured a full recovery.
— Justin Trudeau (@JustinTrudeau) October 19, 2018
শুক্রবার রেল লাইনে দাঁড়িয়ে দশেরার রাবণ দহন পর্ব দেখতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে অনেকেই। ধোবিঘাটের কাছে চৌরিবাজার এলাকায় ঘটে ঘটনাটি। ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০। আহতদের অধিকাংশেরই অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাঞ্জাব সরকারের তরফে মৃতের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনকরেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা জানিয়েছেন, “অমৃতসরের দুর্ঘটনা হৃদয় বিদারক।”
[কার্নিভালে আসবেন রেকর্ড বিদেশি, দূষণ-নিয়ন্ত্রণে সতর্ক পুলিশ ও পুরসভা]
প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, শুক্রবার অমৃতসর এবং মানাওয়ালা স্টেশনের মাঝামাঝি অবস্থিত ২৭ নম্বর গেটের কাছে লাইনে দাঁড়িয়ে দশেরার উৎসব দেখছিলেন অন্তত ৫০০-৭০০ জন মানুষ। রেললাইনের পাশেই চলছিল রাবণ দহন পর্ব। তারস্বরে বাজছিল ঢাক-ঢোল। পুড়ছিল শব্দবাজিও। রাবণের মূর্তি পোড়া শুরু হতেই দর্শনার্থীরা ২৭ নম্বর গেটের দিকে (ঘটনার সময় সেটি বন্ধ ছিল) ছুটতে শুরু করেন। তখনই দু’দিক থেকে আপ এবং ডাউন লাইনে ডিএমইউ লোকাল এবং হাওড়া-অমৃতসর এক্সপ্রেস চলে আসে। দু’টি ট্রেন একসঙ্গে কখন যে এসে পড়েছে তা কেউ বুঝতে পারেননি। ফলে অধিকাংশ দর্শনার্থী লাইন থেকে অন্যত্র সরে গিয়ে প্রাণ রক্ষা করার সময়টুকুও পাননি। ডিএমইউ লোকালের ধাক্কায় নিমেষের মধ্যে ট্রেনের তলায় কাটা পড়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে যান বহু মানুষ। অনেকে ছিটকে পড়েন রেললাইনের আশপাশে। লাইনে ভিড় থাকলেও সিগনাল সবুজ ছিল বলে জানিয়েছেন ট্রেনের মোটরম্যান।
এদিন রাবণ বধ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্যোত সিং সিধুর স্ত্রী-ও। যদিও তিনি সুরক্ষিত আছেন বলে খবর। দুর্ঘটনার পরই অকুস্থলে যায় উদ্ধারকারী দল। ঠিক কী কারণে এতবড় দুর্ঘটনা ঘটে গেল তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত। রাবণ দহনের মতো এত বড় মাপের উৎসবের আয়োজন কেন রেললাইনের পাশে করা হল, কেনই বা একসঙ্গে এত লোক লাইন আটকে উৎসব দেখছিলেন, তা নিয়ে উঠছে বহু প্রশ্ন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.