সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কানাডার (Canada) খলিস্তানি (Khalistani Terrorist) নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে আরও সুর চড়াল সেদেশের সরকার। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিল ব্লেয়ার জানান, ভারতের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ যদি সত্যি প্রমাণিত হয় তাহলে সার্বভৌমত্ব রক্ষা নিয়ে কানাডাকে চিন্তিত হতে হবে। তবে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হবে বলেই জানিয়েছেন কানাডার মন্ত্রী। প্রসঙ্গত পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ আনেন, হরদীপের খুনের নেপথ্যে ভারতের হাত রয়েছে।
এই অভিযোগের জেরে বেশ কয়েকদিন ধরে ভারত-কানাডা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ব্যাপক টানাপোড়েন চলছে। এহেন পরিস্থিতিতে কানাডার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “ভারতের সঙ্গে কানাডার সম্পর্ক নিয়ে সমস্যা হতে পারে সেটা আমরা জানি। কিন্তু এই খুনের তদন্ত চালিয়ে যাওয়াটা আমাদের কর্তব্য। সত্যিটা জানার জন্য তদন্ত করতেই হবে। ভারতের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ যদি সত্যি প্রমাণিত হয়, তাহলে সেটা কানাডার পক্ষে খুবই উদ্বেগজনক। দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ হওয়ার ঘটনায় চিন্তিত হবে কানাডার প্রশাসন।”
প্রসঙ্গত, এই খুনের ঘটনার তদন্তে কানাডাকে সাহায্য করছে ফাইভ আইজ। কী এই ফাইভ আইজ? ইন্টারন্যাশনাল ইনটেলিজেন্সের এই গোষ্ঠীর সদস্য পাঁচ দেশ। কানাডা ছাড়াও রয়েছে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। গোটা বিশ্বে ঘটে চলা নানা রাজনৈতিক, কূটনৈতিক, সামরিক ও চরবৃত্তির উপর এই দেশগুলো একসঙ্গে নজর রাখে। পঞ্চ চক্র হিসাবেও পরিচিত এই গোষ্ঠী।
গত সোমবার নিজের দেশের সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau) সাফ জানান, কানাডার নাগরিক খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের নেপথ্যে ভারতীয়দের (India) হাত থাকতে পারে বলেই সেদেশের তদন্তকারীদের অনুমান। এই দাবির পক্ষে প্রমাণ মিলেছে বলেও জানান কানাডার প্রধানমন্ত্রী। তার পরেই কানাডার বিদেশমন্ত্রী জানিয়ে দেন, কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় কূটনীতিকদের মধ্যে অন্যতম প্রধান এক আধিকারিককে বহিষ্কার করা হয়েছে। কানাডার এহেন অভিযোগের পালটা জবাব দিয়ে কানাডার এক কূটনীতিককে পাঁচদিনের মধ্যে দেশে ফিরতে নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি। তারপর থেকেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.