Advertisement
Advertisement
ISIS

বিস্ফোরণের পর ইসলামিক স্টেটকে হুমকি তালিবানের, এবার জেহাদিদের মধ্যে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা

তালিবান গোয়েন্দা আধিকারিকদের উপর হামলা আইএস জঙ্গিদের।

Can reign Islamic State in Afghanistan, says Taliban | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:September 21, 2021 9:20 am
  • Updated:September 21, 2021 9:20 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানে তালিবান (Taliban) ও ইসলামিক স্টেট (খোরাসান)-এর মধ্যে বাড়ছে রক্তাক্ত সংঘাতের আশঙ্কা। গত শনিবার ও রবিবার নানগরহার প্রদেশে একটি বিস্ফোরণ ঘটায় আইএস। ওই হামলায় মৃত্যু হয় তিনজনের। এক তালিবানের সদস্য আহত হয়। তারপর সোমবার এক বিবৃতিতে তালিবান জানিয়েছে, আফগানিস্তানে আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীকে কাবু করতে সক্ষম তারা।

[আরও পড়ুন: Taliban Terror: রক্তাক্ত শৈশব! ফের ‘শিশু সৈনিক’ তৈরি করতে চলেছে তালিবান]

আফগান সংবাদমাধ্যম Tolo News-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আফগান সংস্কৃতি এবং তথ্যমন্ত্রকের ডেপুটি মিনিস্টার জাবিউল্লা মুজাহিদ বলে, “দায়েশ (ইসলামিক স্টেটের আরও একটি নাম) তেমন ভয়ের কারণ নয়। মানুষ তাদের ঘৃণা করে। দায়েশকে কেউ সমর্থন করে না। অতীতেও আমরা সাফল্যের সঙ্গে ওই সংগঠনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। কীভাবে তাদের জারিজুড়ি ভেঙে দিতে হবে তা আমরা জানি।” তবে মুজাহিদ যাই বলুক না কেন, বিশ্লেষকদের মতে, আফগানিস্তানে ক্রমে শিকড় মজবুত করছে সুন্নি জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (খোরাসান)। এবং ভবিষ্যতে তা তালিবানের মাথাব্যথার প্রধান কারণ হয়ে উঠতে চলেছে।

Advertisement

বলে রাখা ভাল, তালিবান ও আইএস দুটোই সুন্নি জেহাদি সংগঠন। তবে ইসলামের ব্যাখ্যা ও মতবাদ নিয়ে দুই দলের মধ্যে বিবাদ তুঙ্গে। আইএসের দাবি, তালিবান আমেরিকার ‘মোল্লা ব্র্যাডলি’ প্রকল্পের অঙ্গ। ওই মৌলবাদীদের মতে, ওই প্রকল্পে জেহাদি সংগঠনের একাংশকে নিজেদের দিকে টেনে সেগুলিকে দুর্বল করে দেয় আমেরিকা। বিশেষত, ২০১৫ সালে আফগানিস্তানের (Afghanistan) নানগরহার প্রদেশে আইএসের খোরাসান শাখা তৈরি হওয়ার পরেই বিরোধ বাড়ে। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় দু’পক্ষের নানা গোষ্ঠীর। কূটনীতিকদের মতে, আইএসের মোকাবিলা করতেই তালিবানকে সমর্থন শুরু করে রাশিয়া। পরে নানগরহর প্রদেশে আমেরিকান অভিযানের ফলে আইএস বড় ধাক্কা খায়। কিন্তু ফের শক্তি সংগ্রহ করছে তারা।

গত শনি ও রবিবার নানগরহার প্রদেশে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তালিবানের গোয়েন্দা আধিকারিকদের নিশানা করেছে আইএস বলে জানিয়েছে তালিবানের গোয়েন্দাকর্তা বশির। ইতিমধ্যে বিস্ফোরণে জড়িত থাকাতর অভিযোগে অন্তত ৪০ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সবমিলিয়ে আফগানিস্তানে যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তালিবান ও ইসলামিক স্টেট।

[আরও পড়ুন: নির্বাচন শেষ রাশিয়ায়, বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করে ফের ক্রেমলিনের দখল নিল পুতিনপন্থী দল]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement