Advertisement
Advertisement

Breaking News

BIMSTEC

চিন্তা বাড়াচ্ছে খামখেয়ালি ট্রাম্পের শুল্কনীতি! মোকাবিলায় ‘বিমস্টেক’-এ মোদির অস্ত্র মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি?

ইতিমধ্যেই সমুদ্রে পণ্য পরিবহণ নিয়ে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে এই সম্মেলনে।

Can Asia counter Trump’s tariffs with BIMSTEC free trade agreement

বিমস্টেক সম্মেলনে ৭ দেশের রাষ্ট্রপ্রধান।

Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:April 4, 2025 6:46 pm
  • Updated:April 4, 2025 6:46 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী শুল্কযুদ্ধের ঘোষণা করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নয়া নীতিতে ভারত-সহ এশিয়ার একাধিক দেশের উপর উচ্চহারে আরোপ করা হয়েছে শুল্ক। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিকাল এন্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন’ বা ‘বিমস্টেক’ সম্মেলন। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে মুক্ত বাণিজ্যের লক্ষ্যে ভীষণভাবে তাৎপর্যপূর্ণ ৭ দেশের এই সম্মেলন।

গত বৃহস্পতিবার ভারত ও থাইল্যান্ড-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উপর বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছে আমেরিকা। যার জেরে এখন থেকে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য করতে গেলে বাড়তি টান পড়বে পকেটে। এই পরিস্থিতিতে আঞ্চলিক বাণিজ্যে জোর দিতে ‘বিমস্টেক’ সম্মেলনে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির লক্ষ্যে বড়সড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে ৭ দেশের এই সংগঠন। জানা যাচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্যের লক্ষ্যে পৌঁছতে সব রকম প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ফেলতে উদ্যত হয়েছে ‘বিমস্টেক’ সদস্যভুক্ত দেশগুলি। ২০২৬ সালে এই বিষয়ে চূড়ান্ত চুক্তি হতে পারে। ইতিমধ্যেই সমুদ্রে পণ্য পরিবহণ নিয়ে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে এই সম্মেলনে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি নিজেদের বাজারে একে অপরের পণ্য প্রবেশের সুযোগ করে দিলে সকলেই উপকৃত হবে। বলাইবাহুল্য এই ক্ষেত্রে ভারতের বিপুল বাজার বাকিদের জন্য অনেক বেশি লাভদায়ক হতে পারে। শুধু তাই নয়, ডলারের পরিবর্তে ভারতীয় টাকার মাধ্যমে এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্য শুরু করেছে ভারত। নিজ নিজ দেশের মুদ্রা ব্যবহারের মাধ্যমে মুক্ত বাণিজ্যের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে এই সম্মেলনে। সেক্ষেত্রে ডলার ‘বাইপাস’ করে দেশকে শক্তিশালী অর্থনীতির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে দেশগুলি।

Advertisement

উল্লেখ্য, বিমস্টেক হলো বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় এবং সংলগ্ন অঞ্চলে অবস্থিত সাতটি সদস্য রাষ্ট্রের একটি গোষ্ঠী। এটি দক্ষিণ এশিয়াকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিকভাবে যুক্ত করছে। যেখানে দক্ষিণ এশিয়া থেকে রয়েছে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কা। এবং পূর্ব এশিয়ায় রয়েছে মায়ানমার এবং থাইল্যান্ড। তথ্য বলছে, এই সংগঠন বিশ্বের ১.৭ বিলিয়ন মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে। অর্থাৎ বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২২ শতাংশ। এবং এর মোট জিডিপি ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। ১৯৯৭ সালের ৬ জুন চারটি দেশ (বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ড) নিয়ে তৈরি করা হয় বিমস্টেক। পরে ১৯৯৭ সালে এখানে যুক্ত হয় মায়ানমার এবং ২০০৪ সালে যুক্ত হয় নেপাল এবং ভুটান।

চলতি বছরে ভারত ও থাইল্যান্ড যৌথভাবে বিমস্টেক-এর সভাপতিত্ব পেয়েছে। মোদি নিজে উপস্থিত হয়েছেন এই সম্মেলনে যোগ দিতে। গত বছর সাংহাই কো অপারেশন অর্গানাইজেশন বা এসসিও-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে বিদেশমন্ত্রী জয়শংকরকে পাঠিয়েছিলেন মোদি। এবার সংসদ অধিবেশন, ওয়াকফ বিল পাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছেড়ে মোদির বিমস্টেক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার ঘটনাই স্পষ্ট করে দেয় ভারতের কাছে এই সম্মেলনের গুরুত্ব কতখানি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement