সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (CAA) বিরোধিতায় উত্তাল গোটা দেশ। জ্বলছে উত্তর-পূর্ব ভারত। যার আঁচ পড়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও। এবার ভারতে আসা পর্যটক ও এখানে কর্মরত সে দেশের নাগরিকদের উদ্দেশে ট্রাভেল অ্যাডভাইজারি জারি করল ব্রিটেন, আমেরিকা, ইজরায়েল ও ফ্রান্সও।
ব্রিটেনের তরফে জারি করা ট্রাভেল অ্যাডভাইজারিতে, জরুরি কাজ না থাকলে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিকে আপাতত এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেখানে আরও বলা হয়, “নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে ভারতের কিছু অংশে উত্তেজনা রয়েছে। উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে হিংসার খবরও মিলেছে। গুয়াহাটিতে জারি রয়েছে কার্ফু। অসমের বেশ কিছু এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। পরিবহণেও তার প্রভাব পড়েছে।” একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকার সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশিকা মেনে তাঁদের কর্মসূচি তৈরি করা উচিত বলে জানানো হয়। এমনকী সে দেশের নাগরিকদের ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখেও যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
মার্কিন অ্যাডভাইজারিতেও কার্যত একই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রশাসনের তরফে অসমে সমস্ত সরকারি সফর আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। পর্যটকদের উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে তবেই যেতে বলা হয়েছে। একই পথে হেঁটে ইজরায়েল, ফ্রান্সের তরফেও ট্রাভেল অ্যাডভাইজারি জারি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবারই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) নিয়ে সরব হয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র ফারহান হক জানিয়েছেন, ‘আমরা এটা জানি যে ভারতীয় সংসদের নিম্ন ও উচ্চকক্ষে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হয়েছে। তারপর যা যা ঘটনা হয়েছে গোটা বিষয়ের উপর আমরা কড়া নজর রাখছি। আইননুগ বিষয়গুলিও আমরা মাথায় রাখছি।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুর থেকেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে বলে দাবি করেছে অসম প্রশাসন। কয়েকটি জায়গা কারফিউ শিথিলও করা হয়েছে। তবে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে শুধু অসম, ত্রিপুরা নয় অন্যান্য রাজ্যেও তার আঁচ পড়েছে। ইতিপূর্বে এই পরিস্থিতির জেরে ভারত সফর বাতিল করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে-সহ বাংলাদেশের দুই মন্ত্রীও। এরপর চার দেশের ট্রাভেল অ্যাডভাইজারি জারি করা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.