সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর মাত্র আট বছরেই জনসংখ্যার নিরিখে চিনকে ছাপিয়ে যাবে ভারত। সোমবার রাষ্ট্রসঙ্ঘে প্রকাশিত ‘দ্য ওয়ার্ল্ড পপুলেশন প্রসপেক্টস ২০১৯’ শীর্ষক রিপোর্টে এমনটাই চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছে। ওই রিপোর্ট অনুসারে, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের মোট জনসংখ্যা দাঁড়াবে ৯৭০ কোটি। এই শতাব্দীর শেষেই তা ১ হাজার ১০০ কোটিতে পৌঁছাবে। বিশ্বের সর্বাধিক জনসংখ্যার দেশ হয়ে উঠবে ভারত।
[আরও পড়ুন: শরণার্থী হঠাও অভিযান ঘোষণা ট্রাম্পের, আতঙ্কে কয়েক লক্ষ মানুষ]
রাষ্ট্রসংঘের এই রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্যে উদ্বেগ বাড়বে ভারতে। খাদ্য, বাসস্থান ও কর্মসংস্থান নিয়ে এমনিতেই রীতিমতো সংঘর্ষ করতে হচ্ছে দেশকে। দিনকে দিন কমে আসছে চাষযোগ্য জমি। ফলে জনবিস্ফোরণ যে ভয়াবহ খাদ্য সংকট ডেকে আনবে তা বলাই বাহুল্য। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের মোট জনসংখ্যা বৃদ্ধির যে সম্ভাবনা রয়েছে, তার অর্ধেকেরও বেশি হবে নয়টি দেশে। এই দেশগুলির মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে ভারত। তার ঠিক পরেই রয়েছে নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো, ইথিওপিয়া, তানজানিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মিশর এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সাহারা মরুভূমি সংলগ্ন এশিয়ার দেশগুলির ৯৯ শতাংশের জনসংখ্যা ২০৫০ সালের মধ্যে দ্বিগুণ হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। ১৯৯০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে গোটা বিশ্বে মেয়েদের জন্মের হারও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। বর্তমানে ভারতে প্রতি ২.২ পুত্রসন্তানের জন্ম পিছু একজন কন্যাসন্তান। ২০৫০ সালের মধ্যে গোটা বিশ্বের জন্মহার কমে এই জায়গায় দাঁড়াবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিশ্বের সবথেকে দ্রুত হারে বেড়ে চলা জনসংখ্যার দেশগুলির অধিকাংশই দরিদ্র। যেখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধি দারিদ্র্য দূরীকরণ, সাম্য, খাদ্য সমস্যা সমাধান, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা প্রসারের উদ্যোগকে চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিয়েছে। ওই দেশগুলিতে গড় আয়ু এখন উন্নত দেশগুলির চেয়ে অনেক কম। বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, দ্রুত আর্থিক উন্নতি করলেও জনসংখ্যা বৃদ্ধি ভারতের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। ‘একটি মাত্র সন্তান’ নীতির মাধ্যমে জনসংখ্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে চিন। তবে গণতান্ত্রিক ভারতে এহেন নীতি কার্যকরী করা সহজ নয়। সঞ্জয় গান্ধীর আমলেও ‘নির্বীজকরণ’ করা নিয়ে ভারতে কম জল ঘোলা হয়নি। ফলে শিক্ষা ও সচেতনতার মাধ্যমেই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
[আরও পড়ুন: বিরল নীল লবস্টার! মার্কিন রেস্তরাঁর রান্নাঘর থেকে অ্যাকোরিয়ামে ঠাঁই]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.