Advertisement
Advertisement
Rishi Sunak

‘অনিচ্ছা সত্ত্বেও নেতাদের কথায় রাজি হতে হয়’, বিস্ফোরক মন্তব্য ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঋষির

তাহলে কি কনজারভেটিভ পার্টির সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করে দিচ্ছেন ঋষি?

British Prime Minister candidate Rishi Sunak says, had to agree with leaders | Sangbad Pratidin
Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:August 24, 2022 2:27 pm
  • Updated:August 24, 2022 2:27 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনে ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক (Rishi Sunak)। বিশেষজ্ঞরা সকলেই একমত, প্রধানমন্ত্রীর কুরসিতে বসা হবে না ঋষির। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে? সেই প্রশ্নের সাফ উত্তর দিয়েছেন ঋষি। তিনি জানিয়েছেন, বেশ কয়েকবছর ধরে সরকারে থেকে বুঝেছেন, ইচ্ছা না থাকলেও অন্যদের কথায় সম্মতি দিতে হয়। তাঁর এই কথার পরেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি কনজারভেটিভ পার্টির সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করে দিচ্ছেন ঋষি?

একটি রেডিও শোয়ে এসে ঋষি বলেছেন, “গত কয়েক বছর ধরে সরকারে থেকে আমি একটা বিষয় উপলব্ধি করেছি। ইচ্ছা না থাকলেও বড় নেতাদের সঙ্গে সহমত হতে হয়। পুরো বিষয়টি আমার কাছে খুব কঠিন লেগেছে। ওই পরিস্থিতিতে আমি আর পড়তে চাই না।” এহেন বিস্ফোরক মন্তব্য করার পরেই কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, লিজ ট্রাসের নেতৃত্বাধীন ব্রিটিশ সরকারে ঠাঁই হবে না ঋষির। কনজারভেটিভ পার্টির অন্দরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও প্রকাশ্য এসে গেল ঋষির মন্তব্যের পরে। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: মার্কিন মুলুকে নয়া রেকর্ড, গুরুত্বপূর্ণ পদে ১৩০ জন ভারতীয়কে নিয়োগ বাইডেনের]

ব্রিটেনের রাজনৈতিক মহলের অনেকেই অনুমান করছেন, লিজ ট্রাস সম্ভবত স্বাস্থ্য দপ্তরের দায়িত্ব দিতে চান ঋষিকে। এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ঋষি সাফ জানিয়ে দেন, “এসব নিয়ে আমি মাথা ঘামাচ্ছি না। লিজ হয়তো এই বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করছি। নিজের জন্য বা অন্য কারোর জন্য কাজ খুঁজছি না আমি।” প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে ঋষির পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ হল, অর্থনীতি সম্পর্কে জনমোহিনী নীতি গ্রহণ করতে পারেননি তিনি। সেই প্রসঙ্গে ঋষি বলেছেন, “আমি সৎভাবে নির্বাচনে জিততে চাই। শুনতে ভাল লাগবে, এমন প্রতিশ্রুতি দেব না আমি। বরং যে কথা দেশের মানুষের শোনা দরকার, সেই কথাই সকলকে জানাতে চাই আমি।”

গত বছরেই আচমকা অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন ঋষি। তারপরেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বরিস জনসনের সরকার। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন বরিস। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি কাজ করতে না পেরেই ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন ঋষি? শীর্ষ নেতৃত্বের সমস্ত বিষয়ে সহমত পোষণ না করার শাস্তি হিসাবেই কি প্রধানমন্ত্রী (Britain Prime Minister) পদে তাঁকে কোণঠাসা করে দিচ্ছেন কনজারভেটিভ পার্টির বরিসপন্থী কর্মী-সমর্থকরা? আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তারপরে আলাদা করে নিজের দল গঠন করতে পারেন ঋষি।

[আরও পড়ুন: বিহারে আস্থাভোটের দিনই সক্রিয় CBI, পুরনো মামলায় তেজস্বী ঘনিষ্ঠ একাধিক নেতার বাড়িতে তল্লাশি]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement