সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘শি ইজ দ্য ফ্রন্টরানার’। ইতিহাসে প্রথমবার। ‘এম’ ফর মেল নয়। ‘এম’ ফর ফিমেল। জেমস বন্ডের বস এবার মহিলা। না, পর্দায় বন্ডের বস তো মহিলা ছিলেনই, এবার এটা ঘটতে চলেছে বাস্তবে। ১৬ জন পুরুষ বসের পর ব্রিটেনের সামরিক গুপ্তচর সংস্থা ‘MI6’-এর সুপারস্পাইয়ের পদটির শীর্ষে এবার দেখা যাবে এক মহিলাকে।
[কিমের সুমতি! মে মাসেই উত্তর কোরিয়ার সব পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষাকেন্দ্র বন্ধের ঘোষণা]
বন্ড ছবির ‘এম’ হিসাবে জুডি ডেঞ্চ যেমন কাজ করেন। ঠিক তেমনটাই এবার বাস্তবে। রুপোলি পর্দার ‘এম’-দের ব্রিটেনের সংস্থার ক্ষেত্রে চিহ্নিত করা হয় ‘সি’। পর্দার জুডি বেঞ্চের দেখা মিলবে বাস্তবে। খুব শিগগিরই হতে চলেছে এমনটা। সানডে টাইমসের রিপোর্ট বলছে, ‘সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস’-এর শীর্ষে এবার নির্বাচিত হচ্ছেন নীলনয়না এক প্রমীলা। তবে গোপনীয়তার কারণেই এই পদাধিকারীর নাম প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না। সংবাদসংস্থা বলছে, পৃথিবী জুড়ে যাঁর নেটওয়ার্ক। যাঁর মেধা ও বুদ্ধিদীপ্ত আচরণ মুগ্ধ করেছে প্রত্যেককে। সেই মহিলাকেই MI6 প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। বিদেশনীতি নিয়ে অসাধারণ কাজের জন্য এর আগে বর্তমান MI6 প্রধান অ্যালেক্স ইয়ঙ্গারকে সম্মানিত করেছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথও। চলতি বছরের নভেম্বরে শেষ হচ্ছে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ।
গুপ্তচর সংস্থা জানাচ্ছে, এই তরুণীই ‘মোস্ট কোয়ালিফায়েড অ্যান্ড কেপেবল’, সবচেয়ে গুণী এবং কর্মক্ষম। সাধারণত, ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রক MI6 প্রধানকে নির্বাচিত করেন, তাতে সিলমোহর দেন প্রধানমন্ত্রী। হলিউডের হিরো জেমস বন্ডের কল্যাণে তাঁর সংস্থা SIS, প্রকারান্তরে MI6 বিশ্ব জুড়ে বিখ্যাত হয়ে ওঠে। ১৯০৯ সালে উইলিয়াম মেলভিল নামক সিক্রেট সার্ভিস ব্যুরোর এক কর্মকর্তা সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৪ সালের আগে পর্যন্ত MI6 নামটি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পায়নি। এমনকী সরকারিভাবেও স্বীকার করা হতো না সংস্থাটির অস্তিত্ব। তবে পরবর্তীতে ব্রিটেনের সামরিক গুপ্তচর সংস্থা হিসাবে স্বীকৃত হয় MI6।
[ডোকলাম তিক্ততা ভুলে বন্ধুত্বের বার্তা ভারত-চিনের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.