Advertisement
Advertisement

Breaking News

Liz Truss Cabinet

প্রধানমন্ত্রীকে দুষে ইস্তফা ব্রিটেনের আরও এক মন্ত্রীর, আরও সংকটে লিজ ট্রাসের সরকার

ট্রাসের মন্ত্রিসভায় ফের ঢুকতে পারেন ঋষি সুনাকপন্থী এক মন্ত্রী।

British Interior Minister Suella Braverman resigns from Liz Truss cabinet | Sangbad Pratidin
Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:October 20, 2022 12:50 pm
  • Updated:October 20, 2022 12:50 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ব্রিটেনের (Britain) মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলেন এক মন্ত্রী। বুধবার লিজ ট্রাসের (Liz Truss) মন্ত্রিসভা ছেড়ে বেরিয়ে এলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান। পদত্যাগপত্রে পরিষ্কার লিখে দিলেন, সাধারণ মানুষের কাছে যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো মেনে চলছে না সরকার। সেই জন্য সরকার ছেড়ে চলে যাওয়াই সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করেছেন ব্রেভারম্যান (Suella Braverman)। প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহেই ইস্তফা দিয়েছিলেন ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ারটেং। পরপর গুরুত্বপূর্ণ দুই মন্ত্রীর ইস্তফার ফলে ট্রাসের উপরে চাপ আরও বাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।

টুইটারে নিজের পদত্যাগপত্রের ছবি আপলোড করেছেন ব্রেভারম্যান। সেখানে প্রধানমন্ত্রী ট্রাসের উদ্দ্যেশে তিনি লিখেছেন, “আমি একটা ভুল করেছি। সেই ভুলের দায়িত্ব নিজের মাথায় নিয়েই আমি সরে যেতে চাই। সেই সঙ্গে আমাদের সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়েও যথেষ্ট চিন্তা থেকেই যাচ্ছে। ভোটারদের কাছে আমরা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, সেগুলো মানা হয়নি। আমাদের ইস্তাহারে যা কিছু লেখা ছিল, সেই কথাও মানা হয়নি।” তবে পদত্যাগপত্রের সঙ্গে বিস্ফোরক একটি দাবিও করেছেন তিনি। ব্রেভারম্যান লিখেছেন, গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথি নিজের ব্যক্তিগত ইমেলের মাধ্যমে এক এমপিকে পাঠিয়েছিলেন তিনি। তাই সরকারি নিয়ম ভেঙেছেন, এই দায় স্বীকার করে মন্ত্রিসভা থেকে সরে যেতে চেয়েছেন তিনি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পরমাণু হামলার আশঙ্কা! ভারতীয়দের দ্রুত ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দূতাবাসের]

প্রসঙ্গত, বরিস জনসনের পরে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন ব্রেভারম্যান। লড়াই থেকে ছিটকে যাওয়ার পরে ট্রাসকে সমর্থন করেন তিনি। কিন্তু মাত্র সাত সপ্তাহের মধ্যেই নতুন প্রধানমন্ত্রীর নীতি নির্ধারণ প্রসঙ্গে আশাহত হয়ে পড়েন তিনি। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ব্রেভারম্যানের জায়গায় গ্র্যান্ট শ্যাপসকে বসানো হতে পারে। সেক্ষেত্রে ফের ট্রাসের মন্ত্রিসভায় এমন একজন এমপি ঢুকে পড়বেন, যিনি ঋষি সুনাকের কট্টর সমর্থক। অর্থমন্ত্রী কোয়ারটেং সরে দাঁড়ানোর পরে তাঁর জায়গায় আসেন জেরেমি হান্ট। তিনিও নির্বাচনের সময়ে ঋষি সুনাককেই (Rishi Sunak) সমর্থন করেছিলেন।

সব মিলিয়ে লিজ ট্রাসের উপর থেকে চাপ কমার কোনও সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে না। বরং নানা দিক থেকে আক্রমণের মুখে পড়ছেন তিনি। কুরসি বাঁচানোর লড়াই ক্রমশই কঠিন হয়ে পড়ছে তাঁর পক্ষে। তাঁর কাজে কনজারভেটিভ দলের সদস্যরা এতটাই বিরক্ত, যে ট্রাসকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন তাঁরা। প্রয়োজন পড়লে দলের নিয়ম ভেঙে দ্রুত নির্বাচন করে নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়ার পক্ষেই সওয়াল করছেন কনজারভেটিভ পার্টির অধিকাংশ সদস্য। সমীক্ষা থেকেও দেখা যাচ্ছে, এখনই লিজ ট্রাসকে সরিয়ে দিতে চান সাধারণ মানুষও। ফলে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ভারতের জামাই ঋষি সুনাকের সম্ভাবনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে।

[আরও পড়ুন: যুদ্ধ কেড়েছে ঘর, ইউক্রেন ছেড়ে রাশিয়ায় ৫০ লক্ষ মানুষ!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement