Advertisement
Advertisement

পুরুষের নজর এড়াতে তরুণীদের স্তনে গরম পাথরের ছেঁকা!

মেয়েদের স্তনের মাপ কমানোর হিড়িক পড়ে গিয়েছে ব্রিটেনে।

British girls follow African ritual
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:January 28, 2019 6:45 pm
  • Updated:January 28, 2019 8:39 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বড় স্তন পুরুষদের আকর্ষণ করে, এর ফলে বাড়তে পারে ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির মতো অপরাধ। পুরুষদের যৌন লালসার শিকার হতে পারে কিশোরীরা। এসব রুখতে ব্রিটেনের একাংশে কিশোরীদের বুকে গরম পাথরের ছেঁকা দেওয়ার রীতি চালু করেছেন অভিভাবকরা। এই প্রথাকে বলা হয় ব্রেস্ট আয়রনিং। মূলত আফ্রিকায় এতদিন এই রীতি প্রচলিত ছিল। এবার ব্রিটেনেও চালু হচ্ছে এই ভয়াবহ রীতি।

[প্রেম করার জন্য সিঙ্গল মহিলাদের অতিরিক্ত ছুটি দিচ্ছে দুই সংস্থা]

একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, লন্ডন, ইয়র্কশায়ার, এসেক্স, পূর্ব মিডল্যান্ডে আফ্রিকার এই প্রথা প্রভাব বাড়িয়েছে৷ যে সময় থেকে স্তনের বৃদ্ধি শুরু হয় অর্থাৎ ১১-১২ বছর, তখন থেকেই নিয়ম করে ছোট মেয়েদের বুকে বাবা-মা বা অন্য কোনও অভিভাবক ঘষে দেন গরম পাথর৷ এর ফলে ওই কিশোরী শারীরিকভাবে প্রচণ্ড কষ্ট পায়। চিকিৎসকরা বলছেন, এর ফলে মানসিকভাবেও ধাক্কা লাগে মেয়েদের। আসলে, এসবই করা হয় স্তনের মাপ যাতে বেড়ে না যায় সেটা নিশ্চিত করতে। বাসিন্দাদের ধারণা, এই বয়সে স্তনের টিস্যুগুলি বৃদ্ধি পায় সবচেয়ে দ্রুত গতিতে। এভাবে গরম পাথর দিয়ে সেই টিস্যুগুলিকে মেরে ফেলাই মূল লক্ষ্য। কিন্তু কেন এমন নির্মম অত্যাচার? স্থানীয়রা বলছেন, ব্রিটেনে ক্রমশ বাড়ছে ধর্ষণ এবং শ্লীলতাহানির মতো অপরাধ। আর তার শিকার হচ্ছে অল্প বয়সী তরুণীরা। তাই স্তনের মাপ নিয়ন্ত্রণের এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে। আফ্রিকায় এই রীতি অনেক আগে থেকেই চালু ছিল। এবার ঢুকে পড়েছে ব্রিটেনেও। ইতিমধ্যেই, অন্তত ১ হাজার তরুণী এই ভয়াবহ রীতির শিকার হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। মূলত আফ্রিকার বংশোদ্ভূত তরুণীরাই এর শিকার হচ্ছেন।

Advertisement

Breast

[এই গ্রামে ছেলেমেয়েকে অবাধ যৌনতার সুযোগ করে দেন মা-বাবা!]

মুশকিল হল, ব্রিটেনে ব্রেস্ট আয়রনিংয়ের বিরুদ্ধে কোনও আইন নেই। তবে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সরকার এই প্রথাকে সামাজিক অপরাধ হিসেবেই দেখছে। রাষ্ট্রসংঘ এধরনের ঘটনাকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করেছে৷ কারণ, পরিবারের তরফে এই রকম আচরণের ফলে শরীরে তো বটেই মনেও গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়, যা মানসিক ভারসাম্যকে টলিয়ে দিতে পারে৷ আর শারীরিকভাবে সংক্রমণও হতে পারে মহিলাদের বুকে৷ সন্তানকে স্তন্যপান করাতেও সক্ষম হন না এই সব মহিলারা৷ এমনকী স্তন ক্যানসারও হতে পারে৷ তাই, ব্রিটেন সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement