সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খুব বেশি হলে আর ৩০ বছর৷ তেষ্টায় গলা শুকিয়ে কাঠ হলেও, মিলবে না একবিন্দু জল৷ বিশ্ব উষ্ণায়ন আর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রকোপে এভাবেই বিপর্যস্ত হতে চলেছে প্রথম বিশ্বেরই এক দেশ৷ পরিবেশ বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিকতম গবেষণায় ইঙ্গিত এমনই৷ শুনে অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যিটা হল এই যে, উষ্ণায়নের প্রথম বলি হতে চলেছে ব্রিটেন৷ ২০৫০ সালের মধ্যেই ব্রিটেন জলশূন্য হয়ে পড়বে৷ বিশেষত দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল, যেখানে সর্বাধিক মানুষের বাস৷
[ আরও পড়ুন: ভেস্তে গেল বিদ্রোহীদের সঙ্গে বৈঠক, ব্রেক্সিট নিয়ে বিপাকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ]
ইংল্যান্ডের এক পরিবেশ সংস্থার গবেষণা বলছে, তীব্র শুষ্ক আর প্রবল গরম জলসংকটের জন্য দায়ী৷ ১০ থেকে ১৫ শতাংশ জলের উৎস শুকিয়ে যাচ্ছে৷ যা দেশের একটা বড় সংখ্যক জনগণের দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলবে৷ এমনকী খরার আশঙ্কাও প্রকাশ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে৷ ব্রিটিশ পরিবেশ বিজ্ঞানী জেমস বেভানের কথায়, ‘জলবায়ু পরিবর্তন এবং একইসঙ্গে জনসংখ্যা বৃদ্ধি – দুয়ের যোগফল জলসংকট৷ এখনই সচেতন না হলে, নিজেরা তো বটেই, ভবিষ্যত প্রজন্মকেও এই ভয়ঙ্কর সমস্যার দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্য দায়ী থাকব আমরাই৷’ গত গ্রীষ্মে ইংল্যান্ডের পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছিল৷ গত কয়েক দশকের মধ্যে তাপমাত্রার পারদ চড়েছিল সর্বোচ্চ৷ সেইসঙ্গে তীব্র প্রদাহ৷ কোথাও কোথাও খরার মতো পরিস্থিতি৷ সেটাই ছিল সংকেত৷ শুষ্কতম গ্রীষ্মের পরিসংখ্যান ধরে গবেষণা করতে গিয়েই দেখা গেল, সামনে সত্যিই বিপদ৷
[ আরও পড়ুন:পাকিস্তানে দুই হিন্দু বোনকে ধর্মান্তর করে বিয়ে, রিপোর্ট তলব সুষমার]
অনাগত সমস্যার সমাধানও ইতিমধ্যে ভাবতে শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা৷ জেমস বেভানের কথায়, ‘এখন থেকেই মেপে জল খরচ করা উচিত৷ অপচয় বন্ধ করতে হবে৷ একটি উৎসের উপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না৷ একাধিক উৎসকে ধীরে ধীরে ব্যবহার করতে হবে৷’ ব্রিটেনে জল সংরক্ষণের যে সব ব্যবস্থা আছে, তা বহু বছরের পুরনো৷ ফলে সেখান থেকে সরবরাহের সমস্যা হতে পারে৷ তাই পুরনো রিজার্ভার ভেঙে ফেলে নতুন করে সব তৈরির পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷ এনিয়ে দেশের জলবণ্টন সংস্থাগুলির সঙ্গেও নতুন করে আলোচনা প্রয়োজন৷ কিংস কলেজের এক অধ্যাপক জানাচ্ছেন, ‘দেশের উত্তরাঞ্চলে সবসময়েই জলের প্রচুর জোগান৷ স্বভাবতই দক্ষিণে জলের অভাব৷ তাই জলসংকটের কোপ সবচেয়ে বেশি পড়বে দক্ষিণাঞ্চলের উপর৷ পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াবে, তা এখনও হয়ত আমজনতা আঁচ করতে পারছেন না৷ কিন্তু এখনই সচেতন হওয়া দরকার৷ শিল্পাঞ্চলে জলের ব্যবহার কিছুটা কমাতে হবে৷ তাহলে সেই জল পরিশ্রুত করে অন্তত পানীয় হিসেবে ব্যবহার করা যাবে৷’ জলসংরক্ষণের এমনই বিকল্প পথ বাতলাচ্ছেন অনেকেই৷ তবে সেই পরামর্শ কানে তুলে কতটা কাজের কাজ করা হয়, সেটাই এখন দেখার৷
By 2050, the amount of #water available could be reduced by 10-15%, with some #rivers seeing 50%-80% less water during the summer months. #WaterwiseConference2019 pic.twitter.com/xL4mtAIV1B
— James Bevan (@JamesBevanEA) March 19, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.