সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু’পক্ষের মধ্যে বিচ্ছেদ আসন্ন। তবে তার পরেও যাতে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকে, তা নিয়ে সচেষ্ট উভয় পক্ষই। তাই ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে কোন পথে যাবে তাদের সম্পর্ক, সে বিষয়ে একটি খসড়া ঘোষণাপত্রে একমত হয়েছে ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। কেমন হবে সেই সম্পর্ক? ‘উচ্চাকাঙ্ক্ষী, বিস্তৃত, গভীর ও নমনীয় সহযোগিতার’, জানিয়েছেন উভয় দেশের আধিকারিকরাই। একই সঙ্গে নানা ক্ষেত্রে রূপান্তরের জন্য নির্ধারিত ২০২০-র পরেও আরও দু’এক বছর সময়সীমা বাড়াতে রাজি হয়েছে উভয়পক্ষ।
🐟The political declaration commits UK to “establish a new fisheries agreement on, inter allia, access to waters and quota shares”. This means sovereignty over our waters sacrificed for a trade deal. That is unacceptable. We must be a normal Independent coastal state like Norway. pic.twitter.com/wRCzdSNahf
— Ross Thomson MP (@RossThomson_MP) November 22, 2018
ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক জানান, সংস্থার কার্যকরী ভূমিকা নেয় ইউরোপীয় কমিশন। তারা ব্রিটেনের সঙ্গে ভবিষ্যতের রাজনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে খসড়া ঘোষণাপত্রে সম্মতি দিয়েছে। ইইউ-এর বাকি ২৭টি দেশের প্রতিনিধিত্ব করা টাস্ক অন্যদের কাছে ঘোষণাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান জঁ ক্ল জুকের জানিয়েছেন, মধ্যস্থতাকারীদের স্তরে ঐকমত্য হয়েছে। রাজনৈতিক স্তরেও নীতিগতভাবে বোঝাপড়া হয়েছে। তবে এখনও চূড়ান্ত কিছুই হয়নি। ব্রিটেন কোন শর্তে ইইউ ছাড়বে, তার একটি খসড়া ২৯ মার্চের মধ্যে তৈরি হবে। একই সঙ্গে পাঠানো হবে পরবর্তী সম্পর্কের রূপরেখাও। উভয় বিষয় নিয়ে ব্রাসেলসে আগামী রবিবার আলোচনায় বসবেন ২৭টি দেশের প্রধানরা। মূলত আর্থিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সহযোগিতা বজায় রাখার কথা বলা হলেও আইন, ফৌজদারি বিচারব্যবস্থা, অপরাধ দমন, বিদেশনীতি, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা-সহ অন্য বিষয়েও উভয়পক্ষ জোর দিয়েছে। শুক্রবার রাতেই এ বিষয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে জরুরি বিবৃতি দিতে পারেন।
এদিকে খসড়া ঘোষণাপত্র নিয়ে উচ্ছ্বাস জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। তাঁর দাবি, ব্রেক্সিট খসড়া ঘোষণাপত্রটি ব্রিটেনের জন্য সঠিক। অান্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে ব্রেক্সিট ইস্যুতে চাপে রয়েছেন মে। অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়টি নিয়ে দোটানায় ব্রিটিশ পার্লামেন্ট। আগেই ইস্তফা দিয়েছেন মে-র ব্রেক্সিট সেক্রেটারি। উল্লেখ্য, দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর ২০১৭-র ফেব্রুয়ারিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার জন্য প্রস্তাবিত বিল পাশ হয়ে যায় ব্রিটিশ পার্লামেন্টে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার লক্ষ্যে ব্রিটিশ সংসদে যে প্রস্তাব পেশ হয়েছিল, বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সেটি পাশ হয়৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরনোর লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে লিসবন চুক্তির ৫০ নম্বর ধারা অনুযায়ী আলোচনা শুরু করেন, এবং একটি খসড়া তৈরির কাজ শুরু করেন। সেই খসড়া নিয়েই যত আপত্তি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের। বিশেষ করে সুর চড়িয়েছেন লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন।
[OMG! প্রেমিককে কুচি কুচি করে কেটে রাঁধল মহিলা, মাংস কারা খেল জানেন?]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.