সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার মারে কাঁপছে ব্রাজিল। পরিস্থিতির ভয়াবহতা স্পষ্ট করে গত ২৪ ঘণ্টায় সে দেশে নতুন করে এই মারণ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩৩ হাজার মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২৭৪ জনের। সব মিলিয়ে বুধবার পর্যন্ত ব্রাজিলে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ লক্ষ ৭২ হাজার ৪১৬।
কয়েকদিন আগেই করোনা সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া বন্ধ ওরে দিয়েছিল ব্রাজিল সরকার। কিন্তু সে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশের পর সরকারি ওয়েবসাইটে ফের দেখা যাচ্ছে কোভিড তথ্য। ঠিক কী বলেছে আদালত? আদালত বলেছে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্রাজিল সরকারকে অতিমারির তথ্য সাধারণ মানুষকে দিতে হবে। নাহলে সাধারণের অধিকার খর্ব করা হবে। করোনা সংক্রমণের গ্রাফের দিকে তাকালে দেখা যাবে ব্রাজিলের অবস্থান আমেরিকার পরেই।
গত মাসেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষণা করে, পরের এপিসেন্টার ব্রাজিল। সেই ঊর্দ্ধগামী রেকর্ডসংখ্যক সংক্রমণ যাতে আর বিশ্ববাসী দেখতে না পান, সে ব্যবস্থা করেছিলেন ব্রাজিলের প্রধানমন্ত্রী। পরে অবশ্য জেইর বলসোনারো নিজেই টুইটারে লিখেছেন, “কোনও রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দেখে দেশের বিচার করাটা ভুল হবে। তবে দেশের মানুষ জন্য সরকার সব সময় পাশে আছে।” বুধবার পর্যন্ত ৩৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে ব্রাজিলে। গত শুক্রবার থেকেই স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ওয়েবসাইট ঠিকমতো কাজ করছে না। সরকার কেন এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, সে ব্যাপারেও কেউ মুখ খোলেননি। তবে গত সপ্তাহ থেকেই করোনা মোকাবিলায় ব্রাজিলের বলসেনারো সরকার ভাল কাজ করেনি, সেই নিয়ে শোরগোল পড়েছিল। এবার সেটা আন্তর্জাতিক মিডিয়ার কাছেও আলোচনার বিষয় হয়ে উঠল।
উল্লেখ্য, এর আগে করোনা তথ্য গোপন করার অভিযোগ উঠেছিল চিনের বিরুদ্ধে। আমেরিকার সিআইএ অবধি চিনের কাছে আসল তথ্য চেয়েছে। যে সময় নিউ ইয়র্কে করোনার ছড়াছড়ি তখন চিনের সংক্রমণের হার কমছে কীভাবে, সেটা জানতে চেয়ে প্রথম মুখ খোলেন স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার পরই করোনা তথ্য গোপন করা নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়। অবশেষে আদালতের হস্তক্ষেপে সেই সমস্যা মিটল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.