সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুতে হতবাক হয়ে গিয়েছিল বিশ্ব। মার্কিন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ আধিকারিকের হাঁটুর নিচে দমবন্ধ হয়ে মারা যেতে যেতে কৃষ্ণাঙ্গ মানুষটির কাতর সংলাপ ছিল, ”আমি শ্বাস নিতে পারছি না।” যে মৃত্যু ঘিরে আমেরিকায় শুরু হয়েছিল ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলন। এবার তেমনই এক নৃশংস হত্যায় জড়াল ব্রাজিলের (Brazil) পুলিশের নাম। এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে পুলিশের গাড়ির ডিকির ভিতরে ঢুকিয়ে কাঁদানে গ্যাস লাগাতার স্প্রে করে খুন করার অভিযোগ উঠল।
বেশ কিছুদিন ধরেই ব্রাজিলে পুলিশি অভিযান ঘিরে বিতর্ক ঘনিয়েছে। একেবারে সম্প্রতি রিও ডি জেনেইরোয় পুলিশের গুলিতে ২৩ জনের মৃত্যুর পরে সেই বিতর্ক আরও চড়া আকার ধারণ করেছে। এই পরিস্থিতিতে বিতর্কের নয়া অধ্যায় তৈরি করল কৃষ্ণাঙ্গ যুবকটির অসহায় মৃত্যু।
ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ভিডিওটি (Viral video)। কী দেখা যাচ্ছে ওই ভিডিওতে? তাতে দেখা গিয়েছে, দু’জন পুলিশ অফিসার এক জেনিভালডো ডি জেসাস সান্টোস নামের কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছেন পুলিশের এসইউভি গাড়ির পিছনে। সেখানে ডিকির মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। ভিতরে কাঁদানে গ্যাসের পুরু আবরণ। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে ওই ব্যক্তি পা জোরে জোরে নাড়াচ্ছেন। কিন্তু পুলিশদের তাতে কোনও রকম হেলদোল নেই। আশপাশের লোক সবটা দেখতে পেলেও কেউ কোনও প্রতিবাদ করেননি। তবে উত্তেজিত জনতাকে দেখা গিয়েছে চিৎকার করতে। গাড়ির মধ্যেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির।
কিন্তু কেন এভাবে মেরে ফেলা হল তাঁকে? পুলিশের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তিনি পুলিশের সঙ্গে আক্রমণাত্মক আচরণ করেছিলেন। এবং পুলিশ তাঁকে আটক করতে চাইলেও তিনি বাধা দেন। পরে তিনি জ্ঞান হারালে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন ওই ব্যক্তিকে।
এই ঘটনায় ব্রাজিলের সাধারণ মানুষরা প্রতিবাদ করেছেন। প্রেসিডেন্ট বলসোনারো জানিয়েছেন, তিনি ফেডেরাল হাইওয়ে পুলিশের কাছে জানতে চাইবেন ঘটনাটি সম্পর্কে। এও জানানো হয়েছে, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.