সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাস্তব থেকেই সিনেমা অনুপ্রেরণা পায়। আবার এই বাস্তবই কখনও কখনও সিনেমার কল্পনাকেও হার মানিয়ে দেয়। এমনই এক ঘটনা সম্প্রতি ঘটে গিয়েছে আমেরিকার লুইজিয়ানা এলাকায়। মায়ের সন্তান প্রসবে হাত লাগাল বছর দশেকের এক বালক।
[ভূতের ছবি দেখার পরই অলৌকিক কাণ্ড, ভাইরাল ভিডিও]
আমির খানের ‘থ্রি ইডিয়টস’ বোধহয় দেখেনি ছোট্ট জেডেন ফন্টেনট। তবে কাজ সে ব়্যাঞ্চোর মতোই করেছে। তাও মাত্র ১০ বছর বয়সেই। ঘটনাটি ঘটেছে ১১ আগস্ট। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই প্রসব বেদনা শুরু হয়ে যায় অ্যাশলি মরিউর। বাথরুমে ছিলেন তিনি। সেখানেই গর্ভস্থ সন্তানের একটি পা বেরিয়ে আসে। বাড়িতে জেডেন ছাড়া আর কেউই ছিল না। ১০ বছরের ছেলেকেই বাইরে গিয়ে দিদাকে ডেকে আনতে বলেন অ্যাশলি। কিন্তু মা’কে ছেড়ে যেতে রাজি হয়নি কিশোর। নিজেই প্রসব করাবে বলে স্থির করে সে। মা’কে কেবল নির্দেশ দিতে বলে। বাকি কাজ ঠিক করে নিতে পারবে বলে জানায় জেডেন। শান্ত জেডেনকে দেখে সাহস পান অ্যাশলিও। ছেলেকে বলতে থাকেন কী কী করতে হবে।
[স্বামীর থেকে জোরে হাঁটার ‘শাস্তি’, ডিভোর্স স্ত্রীকে]
প্রসবের এই কাজ মোটেও সহজ ছিল না। ব্রিচ কন্ডিশনে ছিল অ্যাশলির গর্ভস্থ সন্তান। অর্থাৎ মাথার বদলে তার পা যোনি থেকে বেরিয়ে এসেছিল। এমন অবস্থা বেশ বিপজ্জনক। যে কোনও কিছু ঘটে যেতে পারত। কিন্তু মা’র কথামতোই প্রসবক্রিয়া সম্পন্ন করে জেডেন। তবে আচমকা সে খেয়াল করে সদ্যোজাত শিশুটি শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে না। কী করা যায়? অ্যাশলি তাকে বলেন বাইরে থেকে অক্সিজেন জোগাতে হবে শিশুকে। কিছু একটা ভেবে দৌড়ে রান্নাঘরে যায় জেডেন। নিজের এগারো বছরে দিদির নাজাল অ্যাসপিরেটর যন্ত্র নিয়ে আসে সে। তা দিয়েই অক্সিজেন জোগায় একরত্তিকে। অক্সিজেন পেয়ে বেঁচে ওঠে শিশুটি। ততক্ষণে অ্যাম্বুল্যান্সও এসে পৌঁছায়। অ্যাশলি ও তাঁর সদ্যোজাতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন মা ও শিশু দু’জনেই সুস্থ রয়েছে। তবে দশ বছরের জেডেনের কীর্তিতে হতবাক ডাক্তাররাও।
[সিরিয়ায় নিকেশ আইএসের ভারতীয় শাখার প্রধান ইউসুফ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.