সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জলেই লুকিয়ে বিপদ! হতে পারে মৃত্যুও! আমেরিকার (America) লাস ভেগাসে এক কিশোরের মৃত্যু ঘিরে এমন আতঙ্কই ছড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলে নামার আগে সাবধান। নাক-কান ঢেকে জলে নামতে পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু নাক-কান ঢেকে আদৌ কি জলে নামা সম্ভব?
ব্যাপারটা কী? নাক দিয়ে ঢুকেছিল ঘিলুখেকো অণুজীব নায়েগ্লেরিয়া ফাউলেরি। নাসারন্ধ্রের পথ বেয়ে তা পৌঁছে গিয়েছিল মাথায়। বাসা বেঁধেছিল মস্তিষ্কে। একটু একটু করে খাচ্ছিল কিশোরের ঘিলু। আর তাতেই প্রাণ গেল লাস ভেগাসের কিশোরের। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। দক্ষিণ নেভাদা জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, ২০ সেপ্টেম্বর অ্যারিজোনার কলোরাডো নদীর বাঁধের জলাশয়ে সাঁতার কাটতে নেমেছিল ওই কিশোর। মনে করা হচ্ছে, তখনই নাক দিয়ে ওই অণুজীব কিশোরের শরীরে প্রবেশ করেছিল।
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তরফে জানানো হয়েছে, ১৯৬২ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত আমেরিকায় ১৫৪টি এধরনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বেশিরভাগ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে নেভাদা, লাস ভেগাস, টেক্সাস, ফ্লোরিডায়। এ সপ্তাহে নেভাদায় আরও একটি মৃত্যুর খবর মিলেছে। ফলে এই অণুজীবের আক্রমণ থেকে বাঁচতে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কী কী সাবধানতা নিতে হবে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত ২৫-৪৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড উষ্ণতার লেকের জলে থাকে এই ‘ঘিলুখেকো’ অণুজীব। লেকের জলে নাক-মুখ খুলে ডুব দিতে নিষেধ করছেন চিকিৎসকরা। প্রয়োজনে নাক ঢাকার বিশেষ প্লাগ ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। ঘিলুখেকো অণুজীবের আক্রমণ ঘটলে ৯৭ শতাংশ ক্ষেত্রে মৃত্যু হতে পারে। কিন্তু ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে সঠিক সময় বিষয়টি ধরা পড়লে মৃত্যু রুখে দেওয়া সম্ভব। সাধারণত, আক্রমণের ১২ দিনের মধ্যে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। এর পাঁচদিনের মধ্যে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
কী কী উপসর্গ দেখা দেয়? চিকিৎসকরা বলছেন, ঘিলুতে অণুজীবের আক্রমণ ঘটলে মাথাব্যথা, জ্বর, মাথা ঘোরানো, বমি-বমিভাব দেখা দেয়। পরে এর থেকে খিঁচুনি, কোমা এমনকী মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.