Advertisement
Advertisement

Breaking News

Brexit

দীর্ঘ টানাপোড়েনের অবসান, ব্রিটিশ সংসদে পাশ ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য বিল

বৃহস্পতিবার ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তিটিতে সিলমোহর দেন ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।

Boris Johnson's post-Brexit trade deal passes into UK law | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:December 31, 2020 8:17 am
  • Updated:December 31, 2020 8:17 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ কয়েকমাসের টানাপড়েন, আলোচনার পর খুলল ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তির জট। বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রেক্সিট (Brexit) পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Jhonson)। এদিন ডাউনিং স্ট্রিটে এই পদক্ষেপকে ‘এক নতুন সম্পর্কের সূত্রপাত’ বলে উল্লেখ করেন জনসন।

[আরও পড়ুন: ইয়েমেনের বিমানবন্দরে জঙ্গি হামলা, বোমা ও গুলির লড়াইয়ে মৃত কমপক্ষে ১৩]

গত বৃহস্পতিবারই আনুষ্ঠানিকভাবে এই চুক্তির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর শেষ হতে চলেছে ব্রেক্সিট ট্রানজিশন পিরিয়ড। তার আগে এতদিন পর্যন্ত বাণিজ্য চুক্তির জট ছাড়াতে নাজেহাল হতে হচ্ছিল ব্রিটেন এবং ইইউ’কে। এই চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার ফলে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে সরকারিভাবে ব্রেক্সিট কার্যকর করায় আর কোনও বাঁধা রইল না ব্রিটেনের। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সূত্রে বলা হয়েছে যে তারা তাদের টাকা, সীমান্ত, আইন, বাণিজ্য ও মাছ ধরার জলের নিয়ন্ত্রণ ফেরত নিয়েছে। বুধবার, প্রায় ১ হাজার ২০০ পাতার বাণিজ্য চুক্তিতে প্রথমে সই করেন ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেয়েন। তারপর রয়াল এয়ারফোর্সের একটি বিমানে ব্রাসেলস থেকে এই বিলটির নথি এসে পৌঁছায় লন্ডন। স্থানীয় সময় মতে বিকেল ৩টে নাগাদ ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ‘হাউস অফ কমন্স’-এ ৫২১টি ভোট পাশ হয় বাণিজ্য চুক্তিটি। বিলটি পাশ হয়ে যায় ‘হাউস অফ লর্ডস’-এ। এরপর বৃহস্পতিবার ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তিটিতে সিলমোহর দেন ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।

Advertisement

২০১৬ সালে ব্রিটিশ জনতার মত (Referendum) নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (European Union) থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয় ব্রিটেন। সেই প্রক্রিয়ার নামই হচ্ছে ব্রেক্সিট (Brexit)। দীর্ঘ টানাপোড়েনের ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি রাত ১১টায় ‘ব্রেক্সিট’ কার্যকরী করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) থেকে বেরিয়ে যায় ব্রিটেন। ইউরোপীয় পার্লামেন্টে পাশ হয় ব্রেক্সিট বিল। এই বিচ্ছেদ কার্যকরী করতে বেশ কিছু শর্ত নিয়ে EU-এর সঙ্গে চুক্তি (Brexit withdrawal agreement) স্বাক্ষর করেন বরিস জনসন। আন্তর্জাতিক আইন মতে ওই চুক্তির শর্ত মানতে বাধ্য দু’পক্ষই। কিন্তু গোল বাঁধে ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে। EU-এর সঙ্গে টানাপোড়েন শুরু হয় ব্রিটেনের। অভিযোগ ওঠে একতরফাভাবে ‘ব্রেক্সিট চুক্তি’তে বদল ঘটাতে চাইছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তারপর ব্রিটেনের বিরুদ্ধে রীতিমতো আইনি পদক্ষেপ করার হুমকি দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson) সরকারিভাবে গত সপ্তাহে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। তারপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফেও সরকারিভাবে বিবৃতি দিয়ে ব্রেক্সিটের (Brexit) কথা ঘোষণা করা হয়। ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেয়েন ঘোষণা করেছেন, দীর্ঘ লড়াই শেষে একটা উপযুক্ত চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তি ব্রিটেনের পক্ষে হলেও তাঁরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশ্বস্ত সঙ্গী হিসেবে কাজ করবে। জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেলও এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলছেন, এই চুক্তির ফলাফল যে ভাল হবে, সে বিষয়ে তিনি আশাবাদী।

[আরও পড়ুন: ইয়েমেনের বিমানবন্দরে জঙ্গি হামলা, বোমা ও গুলির লড়াইয়ে মৃত কমপক্ষে ১৩]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement