সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে নতুন প্রধানমন্ত্রী পাচ্ছেন ব্রিটিশরা৷ টেরেসা মে’র পদত্যাগের পর যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল, তার অবসান ঘটল৷ নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা বরিস জনসন, লন্ডনের প্রাক্তন মেয়র, যিনি বেক্সিটপন্থী নেতা হিসেবে বহুল জনপ্রিয়৷ আগামী ৫ বছরের জন্য ১০, ডাউনিং স্ট্রিটের বাসিন্দা হতে চলেছেন জনসন৷
ব্রেক্সিট নিয়ে জটিলতার জেরে টেরেসা মে’র পদত্যাগের পর নতুন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রতিযোগিতায় কিন্তু এগিয়ে ছিলেন ব্রিটিশ বিদেশ সচিব তথা লেবার পার্টির নেতা জেরেমি হান্ট৷ তবে ব্রেক্সিট সংশোধনী নিয়ে ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হতেই দেখা যায়, কনজারভেটিভদের প্রাপ্ত ভোট ৯২১৫৩ এবং লেবার পার্টি পেয়েছে ৪৬৫৬৫ ভোট৷ তবে এতে কনজারভেটিভ শিবিরে খুব স্বস্তি নেই৷ সামনে বড় পরীক্ষা৷ যেহেতু ব্রিটিশ সংসদে নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই, তাই সর্বপ্রথম তা প্রমাণ করতে হবে জনসনকে৷ তার জন্য উত্তর আয়ারল্যান্ডের ব্রেক্সিটপন্থী দল ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির সমর্থন দরকার৷
তারপর রয়েছে ব্রেক্সিট পরীক্ষা৷ অর্থাৎ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার কথা ৩১ অক্টোবর৷ বরিস দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, যেভাবেই হোক, ইইউ-এর সঙ্গে বিচ্ছেদ করবেনই৷ আর তা নিয়েই আপত্তি উঠছে বিরোধী শিবিরে৷ অনেকেই বলছেন, নিতান্ত জেদের বশে জনসনের চুক্তিহীনভাবে ব্রেক্সিটের সিদ্ধান্ত কার্যকর করার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হতে চলেছে৷ যা বুঝতেও পাচ্ছেন না জনসন৷ এনিয়ে নিজেদের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন দুই প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন, টনি ব্লেয়ার৷ আবার আরেকাংশের মতে, জনসন যেহেতু ব্রেক্সিট নিয়ে এককাট্টা, তাই ক্ষমতায় বসেই তিনি দ্রুত ভোটের পথে হাঁটবেন৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.