Advertisement
Advertisement
Pakistan

রাষ্ট্র সমর্থিত নিপীড়ন বন্ধ হোক, পাকিস্তানকে তোপ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসনের

পাকিস্তানের কাছে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষা করার আরজি জানান প্রধানমন্ত্রী জনসন।

Boris Johnson urges Pakistan govt to guarantee fundamental rights of citizens | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:November 12, 2020 2:24 pm
  • Updated:November 12, 2020 2:24 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানে (Pakistan) রাষ্ট্রের সমর্থনে সংখ্যালঘু নিপীড়ন নতুন কিছু নয়। ধর্মের নামে মানবাধিকার হরণও সে দেশে জলভাত। সেই কথা ফের তুলে ধরে এবার ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে তোপ দগলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

[আরও পড়ুন: বিডেন আমলে কি মিলবে সমর্থন? আমেরিকার চিন নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন তাইওয়ান]

বুধবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পাকিস্তানের কাছে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষা করার আরজি জানান প্রধানমন্ত্রী জনসন। এদিন পাকিস্তানে মানবাধিকার হরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ব্রিটিশ সাংসদ ইমরান আহমেদ খান। তাঁর বক্তব্য, ইসলামাবাদকে এই বিষয়ে সতর্ক করা উচিত। এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী জনসন বলেন, “আমার সম্মানীয় বন্ধুর সঙ্গে এই বিষয়ে আমি সম্পূর্ণ একমত। আমি তাঁকে জানাতে চাই যে, সম্প্রতি পাক নাগরিকদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে পাকিস্তানের মানবাধিকার মন্ত্রীর কাছে বিষয়টি উত্থাপন করেছেন আমাদের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক মন্ত্রী। আমি পাক সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, তারা যেন রাষ্ট্র সমর্থিত নিপীড়ন বন্ধ করে।”

Advertisement

পাকিস্তানে হিন্দু, শিখ ও খ্রিস্টানদের হত্যা, ধর্ষণ ও জোর করে ধর্মান্তকরণ করার ঘটনা আকছারই ঘটছে। পাশাপাশি, মুসলিম হলেও আহমদিয়া, হাজারা-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু ইসলামিক গোষ্ঠীগুলিও নির্যাতনের শিকার। এই বিষয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য ইমরান আহমেদ খান মনে করিয়ে দেন যে, করোনা মহামারী মোকাবিলার সঙ্গে পাকিস্তানে সংখ্যালঘু নিপীড়নের বিষয়টি ভুললে চলবে না। গত রবিবার পেশোয়ার শহরে ৮২ বছরের এক আহমদি বৃদ্ধের নির্মম হত্যার কথাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।

সম্প্রতি, পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) কড়া সমালোচনা করেছে রাষ্ট্রসংঘের নজরদারি সংস্থা ইউএন ওয়াচ। গত অক্টোবর মাসে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদ (UNHRC) -এর সদস্য হিসেবে ১৬৯টি ভোট পেয়ে পুনর্নিবাচিত হয় পাকিস্তান। এশিয়া-স্পেসিফিক অঞ্চলে তারাই সবচেয়ে বেশি ভোট পায়। এরপরই তাদের নির্বাচিত হওয়ার দিনটাকে মানবাধিকার রক্ষার লড়াইয়ে একটি কালো দিন হিসেবে উল্লেখ করে পাকিস্তানের তীব্র সমালোচনা করে জেনিভার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইউএন ওয়াচ (UN Watch)। রাষ্ট্রসংঘের কাজকর্মের উপর নজরদারিতে লিপ্ত এই সংগঠনটির এক সদস্য জানান, যেভাবে পাকিস্তানে খ্রিস্টান, হিন্দু ও আহমেদিয়া মুসলিম-সহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার হচ্ছে। তাতে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদে সদস্য হিসেবে তাদের উপস্থিতি মেনে নেওয়া যায় না।

[আরও পড়ুন: ২৬/১১ মুম্বই হামলায় জড়িত ১১ জঙ্গি তাদের দেশেই আছে, অবশেষে স্বীকার করল পাকিস্তান]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement