সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এককালে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন তাঁরা। এখন মুখ দেখাদেখি প্রায় বন্ধ। প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বনাম প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কলহে ব্রিটিশ শাসকদল কনজারভেটিভ পার্টি কার্যত বেআব্রু।
এবার জনসভায় প্রকাশ্যে দুই তাবড় নেতার দ্বৈরথ। সবার সামনেই বরিস জনসনকে আক্রমণ করলেন ঋষি সুনাক। পালটা, সুনাককে এক হাত নিয়েছেন বরিসও। সোমবার লন্ডনের এক সভায় সুনাক দাবি করেন, হাউস অফ লর্ডস-এর (ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ) সদস্যপদের জন্য আটজন ঘনিষ্ঠের নাম প্রস্তাব করেছিলেন বরিস। কিন্তু এই দায়িত্বে থাকা ‘হাউস অফ লর্ডস অ্যাপয়েন্টমেন্টস কমিশন’ তাঁদের নাম খারিজ করে দেয়।
এই ঘটনার পরেই বরিস সংশ্লিষ্ট কমিশনের সিদ্ধান্তকে পাশ কাটিয়ে তাঁর ঘনিষ্ঠ চারজন টোরি এমপিকে (কনজারভেটিভ) ওই পদ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলেন সুনাককে। তবে সেই কথায় কান দেননি সুনাক। তিনি জানান, বরিসের পরে ক্ষমতায় এসে দেশের মানুষের কাছে দলের বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনতে তিনি বদ্ধপরিকর ছিলেন। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পালটা তোপ দাগেন বরিস। সুনাকের দাবি নস্যাৎ করে তিনি বলেছেন, “ঋষি ভুলভাল কথা বলছেন। আমি কখনও কমিশনের সিদ্ধান্তকে উড়িয়ে দিইনি। বিষয়টি নিয়ে ফের ভেবে দেখার প্রস্তাব দিয়েছিলাম মাত্র।”
সদ্য এমপি পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন বরিস জনসন (Boris Jhonson)। ‘পার্টিগেট কেলেঙ্কারি’র জেরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তিনি দাবি করেন, বহু দলীয় প্রিভিলেজেস কমিটির রিপোর্টের জেরেই তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। ওই তদন্তে তাঁকে অন্যায়ভাবে এমপি পদ থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।বরিস বলেছিলেন, “আমি খুব অবাক হলাম এটা দেখে যে ওরা (প্রিভিলেজেস কমিটি) আমাকে পার্লামেন্ট থেকে বের করে দিতে চায়। তাই আমি পদত্যাগ করছি। আক্সব্রিজ ও সাউথ রুইসলিপ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা আমি জানিয়ে দিয়েছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.