সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৈলাস (Kailasaa) রাষ্ট্র আসলে সীমানাহীন একটি দেশ, যার মূল উদ্দেশ্য হল মানুষের সেবা করা। সাম্প্রতিককালে একাধিকবার বিতর্কের মধ্যে পড়েছে ভারতীয় ধর্মগুরু নিত্যানন্দের তৈরি ‘কৈলাস রাষ্ট্র’। এহেন পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কৈলাসের প্রতিনিধিরা। কৈলাসকে দেশ হিসাবে স্বীকৃতি দেয়নি রাষ্ট্রসংঘ (United Nations)। তবুও নিজেদের রাষ্ট্র হিসাবেই দাবি করেন কৈলাসের আধিকারিকরা।
২০১৯ সালে একাধিক ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পরেই ভারত ছেড়ে পালান ধর্মগুরু নিত্যানন্দ (Nityanand)। ইকুয়েডর সংলগ্ন একটি দ্বীপ পুরোটাই কিনে নিয়েছেন। সেই অঞ্চলটিকেই কৈলাস রাষ্ট্র হিসাবে দাবি করেন তিনি। কিছুদিন আগেই রাষ্ট্রসংঘের একটি সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয় কৈলাস রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের। ওই সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন নিত্যানন্দের শিষ্যা বিজয়প্রিয়া। তারপর থেকেই বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে অবশ্য বিবৃতি জারি করে রাষ্ট্রসংঘ। আন্তর্জাতিক মঞ্চে যা কিছু বলেছেন নিত্যানন্দ, তা একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক, এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়ার কোনও মানে হয় না। তবে আন্তর্জাতিক মহলে কৈলাস রাষ্ট্র নিয়ে আগ্রহ বাড়তে থাকে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কৈলাস রাষ্ট্রের প্রতিনিধি বলেন, “আসলে কৈলাস দেশটির কোনও সীমানা নেই। জনসেবার উদ্দেশ্যেই আমাদের এই রাষ্ট্র তৈরি হয়েছে।”
সাংবাদিক সম্মেলনে কৈলাসের প্রতিনিধি আরও বলেন, “প্রাচীন হিন্দু সভ্যতাকে বাঁচিয়ে রাখতে কাজ করছে আমাদের দেশ। বিশ্বজুড়ে নানা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দ্বারা কাজ করি আমরা।” উদাহরণ হিসাবে মাল্টার কথা তুলে ধরেন কৈলাসের প্রতিনিধিরা। কৈলাস রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা নিত্যানন্দের বিরুদ্ধে একাধিক ধর্ষণের অভিযোগ নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। তবে কৈলাসের প্রতিনিধিরা সাফ বলেন, “এই অভিযোগগুলি একেবারে মিথ্যে। তদন্তের রিপোর্ট দিয়েছেন মানবাধিকার আইনজীবীরা। সেখানেও নিত্যানন্দের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যায়নি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.