Advertisement
Advertisement

Breaking News

মাঝ আকাশে উড়ে যায় দরজা, এবার কাঠামোয় ত্রুটি! ফের কাঠগড়ায় বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বিমান

অন্তত ৫০টি ম্যাক্স বিমানের ফিউসেলাজ বা কাঠামোয় নির্মাণগত সমস্যা দেখা দিয়েছে।

Boeing 737 Max: New problem detected in fuselages। Sangbad Pratidin

ফাইল ছবি

Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:February 6, 2024 9:39 am
  • Updated:February 6, 2024 9:44 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই বরাত জোরে রক্ষা পায় একটি বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৯ বিমান। মাঝ আকাশেই আলাস্কা এয়ারলাইন্সের বিমানটির দরজা উড়ে যায়। ১৭১ জন যাত্রী এবং ছজন কর্মীকে নিয়ে পোর্টল্যান্ড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে সেটি। এই ঘটনার রেশ না কাটতেই ফের কাঠগড়ায় বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বিমান। এবার কাঠামোয় নির্মাণগত সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে খবর। 

জানা গিয়েছে, অন্তত ৫০টি ম্যাক্স বিমানের ফিউসেলাজ বা কাঠামোয় নির্মাণগত সমস্যা দেখা দিয়েছে। বোয়িংয়ের যন্ত্রাংশ জোগানদাতা সংস্থা ‘Spirit AeroSystems’ নাকি এই ত্রুটি ধরতে পেরে বোয়িং কর্তৃপক্ষকে জানায়। এই ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে পড়েছে মার্কিন বিমানসংস্থাটি। এক বিবৃতিতে বোয়িংয়ের কমার্শিয়াল এয়ারপ্লেনস ডিভিশনের সিইও স্ট্যান ডিলস বলেন, “এনিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কিছু নেই। ৭৩৭ বিমানগুলো সুরক্ষিত ভাবেই উড়ান ভরতে পারবে। তবে ৫০টি নির্মীয়মাণ বিমানে ফের কিছুটা কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে।” 

Advertisement

[আরও পড়ুন: ক্যানসারে আক্রান্ত ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস, বাবাকে দেখতে বাড়ি ফিরছেন হ্যারি]

উল্লেখ্য, বাণিজ্যিক বিমানের বাজারে বোয়িং বড় নাম। কয়েক দশক ধরে গোটা বিশ্বের আকাশে দাপটের সঙ্গে ডানা মেলছে সংস্থাটির নির্মিত যাত্রীবাহী বিমানগুলো। তবে বিগত কয়েকবছরে বোয়িংকে কড়া টক্কর দিচ্ছে ইউরোপীয় বহুজাতিক সংস্থা এয়ারবাস। বিমানসংস্থাগুলোর পছন্দের তালিকায় উপরের দিকে নাম রয়েছে এয়ারবাস ৩২০ বিমানের। এই প্রেক্ষাপটে ম্যাক্স বিমানের ত্রুটি প্রকাশ্যে আসায় বোয়িংয়ের উপর চাপ অনেকটাই বেড়েছে। ইতিমধ্যে ধাক্কা খেয়েছে সংস্থাটির শেয়ার। পরিস্থিতি দ্রুত না শোধরালে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে বহু গ্রাহক। 

প্রসঙ্গত, অতীতে একাধিকবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে বোয়িংয়ের ম্যাক্স সিরিজের বিমানগুলো। ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ারের বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স-৮ বিমান ভেঙে পড়ে। ওই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৮৯ জন। তার কয়েক মাস পরেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় ইথিওপিয়ান উড়ান সংস্থার একটি ম্যাক্স বিমান। নিহত হন ১৫৭ জন। তার পরেই বিশ্ব জুড়ে উড়ান সংস্থাগুলোর মনে ম্যাক্স নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। ফলে ভারতের অসামরিক উড়ান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন’ (ডিজিসিএ)-সহ ইউরোপ এবং এশিয়ার একাধিক দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বোয়িং ম্যাক্স বসিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement