সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলার বনধ সার্বিকভাবে ব্যর্থ, মিলান থেকে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। বনধ প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপির দিন শেষ হয়ে এসেছে। গড়বড় করা ছাড়া সন্ত্রাসবাদমূলক কথাবার্তা ছাড়া আর কোনও কাজ নেই বিজেপির।” বনধ ব্যর্থ করার জন্য বাংলার মানুষকে কৃতজ্ঞতা জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বাংলার মানুষ আরও একবার বুঝিয়ে দিল কর্মনাশা বনধ, সর্বনাশা বনধ আর চলবে না। বাংলার মানুষ উন্নয়ন চায়। মামলার মানুষ বনধ করতে দেয়নি। আমার কাছে যা রিপোর্ট আছে সব স্কুল-কলেজে, সরকারি দপ্তরে ৯৫ শতাংশ উপস্থিতি। যারা গুন্ডামি করছে তাদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছে।”
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে সস্তার রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছেন। মমতা বলেন, রাজনীতি করতে হয় মানুষের পাশে থেকে, মানুষের জন্য আন্দোলন করে। এ প্রসঙ্গে নিজের রাজনৈতিক জীবনের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন মমতা। তিনি বলেন “মানুষের প্রয়োজনে আমি ২৬ দিন অনশন করেছি, ভাঙা প্যান্ডেলে পড়ে থেকেছি। আন্দোলন করতে গেলে ওরা মেরে আমার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। অথচ এরা সস্তার রাজনীতি করছে সন্ত্রাসবাদমূলক নেগেটিভ কথাবার্তা বলছে, নীতিহীন, আবেগহীন, বিবেকহীন রাজনীতি করছে। যেভাবে ওদের নেতারা কথাবার্তা বলছে, নিজেই খুন করছে, নিজেই বোমা আমদানি করছে এসব প্রচারে আসার ফিকির।”
এদিন বনধে হিংসা ছড়ানোর জন্যও বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বনধ করে, ভাঙচুর করে রাজনীতি হয় না। মানুষের পেটে ভাত না থাকলে কিসের রাজনীতি। কারওরই জমিদারি নেই, এই হিংসাত্মক কার্যকলাপ বন্ধ হোক। বিধানসভায় আমরা আইন আনছি, সরকারি বেসরকারি যে কোনও সম্পত্তি নষ্ট করলে বা ভাঙচুর করলে তাঁর জরিমানা দিতে হবে।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা বাংলায় বনধ বন্ধ করে আমরা ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমিয়েছি। কর্মসংস্থানে বাংলা এখন দেশের সেরা। আমি যখনই বাংলার স্বার্থে বিদেশে আসি তখনই বাংলায় বিরোধীরা ষড়যন্ত্র করে। “
কর্মনাশা বনধকে সমর্থন না করার জন্য বাংলার মা, মাটি, মানুষকে ধন্যবাদ জানাই। বাংলাই একমাত্র রাজ্য যেখানে সবসময় বনধ ব্যর্থ হয়। আবারও পথ দেখাল বাংলা। রাজ্যের কর্মসংস্কৃতি বদলে গেছে। নেতিবাচক ও ধংসাত্বক কর্মসংস্কৃতির অবসান ঘটেছে। #সচলবাংলা #NoBandhInBengal
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) 26 September 2018
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.