সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছর দুই আগে ইউহান (Wuhan) শহর থেকে কোভিড ১৯ (Covid 19) ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর একাধিকবার লকডাউন (Lockdown) হয়েছে চিনে (China)। শুরুর দিকে সে দেশের সরকার কার্যত গৃহবন্দি করে ফেলেছিল দেশবাসীকে। প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ কমাতে একাধিক কড়া পদক্ষেপ করেছিল বেজিং (Beijing)। তথাপি সাম্প্রতিক ওমিক্রন আতঙ্কে সবচেয়ে বড় লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল চিনে।
একাধিক শহরে নতুন করে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ছে। এই অবস্থায় পশ্চিম চিনের জিয়ান (Xi’an) শহরে সম্পূর্ণ লকডাউন কার্যকর করল সরকার। ঘনবসতিপূর্ণ এই শহরের বাসিন্দাদের বলা হয়েছে, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া আপতত বাড়িতেই থাকতে হবে। দু’ দিনে একবার পরিবারের একজনকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে বাইরে বেরোনোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় শহরের পথে বেরোনো নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ১৪টি প্রদেশে নতুন করে ১২৭ জন কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নিল চিন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, শহরের পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলতর আকার ধারণ করছে।
এমন সময় নতুন করে সংক্রমণ বাড়ছে চিনে, যখন ছুটির আমেজ দেশজুড়ে। ফলে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে ফেলেছেন অনেকেই। এছাড়াও সে দেশে সামনেই রয়েছে উইন্টার অলিম্পিক গেমস। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ সংক্রমণের পিছনে রয়েছে কোভিডের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। নতুন করে চিন্তা বাড়াচ্ছে ওমিক্রনও (Omicron)। অনেক ক্ষেত্রেই টিকার দুটো ডোজ নেওয়া থাকলেও রক্ষা পাচ্ছেন না মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে ১৪টি প্রদেশে কড়া বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে।
আজই বিশ্ব সংস্থার (WHO) ডিরেক্টর জেনারেল জানিয়েছেন, কোনও দেশই দ্রুত এই মহামারী পরিস্থিতি থেকে বেরোতে পারবে না। এই কারণে টিকাকরণই একমাত্র পথ। হু-র তরফে আরও বলা হয়েছে, বুস্টার ডোজের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ কম রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন মানুষের ন্যূনতম টিকাকরণ নিশ্চিত করা।
এদিকে নতুন করে ভারতে বাড়ছে করোনায় মৃত্যুর হার, সংক্রমণও ঊর্ধ্বমুখী। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪৯৫ জন। এর মধ্যে স্রেফ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টেই আক্রান্ত ২৩৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪৩৪ জনের, যা বেশ উদ্বেগজনক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.