সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটে’ অংশ নিয়ে সিএনএনের আটলান্টা স্টুডিওয় মুখোমুখি হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বাইডেন। মঞ্চে পাশাপাশি বসেও তাঁরা একে অপরের সঙ্গে করমর্দন করেননি। ট্রাম্প রীতিমতো আক্রমণ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। মার্কিন অর্থনীতির মতো নানা বিষয়ে করা তাঁর অভিযোগের পালটা দিলেন বাইডেনও।
আগামী নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এক্সিট পোল ট্রাম্পকে সামান্য এগিয়ে রাখলেও খুব বেশি পিছিয়ে নেই বাইডেনও। এই পরিস্থিতিতে মুখোমুখি বিতর্কে দুজনই সুর চড়ালেন। চার বছর পর দুই নেতার মুখোমুখি বাকযুদ্ধের দিকে কেবল আমেরিকা নয়, নজর ছিল বহু দেশেরই। যদিও শেষপর্যন্ত দেখা গেল এদিনের বিতর্কে ট্রাম্পই যেন পিছনে ফেললেন বাইডেনকে।
এদিন ট্রাম্প (Donald Trump) বাইডেনকে (Joe Biden) গর্ভপাতের অধিকার, মুদ্রাস্ফীতি, সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য পরিষেবা, অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মতো নানা বিষয়ে আক্রমণ করেছিলেন। বাইডেনের তূণে ছিল ক্যাপিটল হিংসা, কোভিড নীতির মতো বিষয়। এমনকী ট্রাম্পের ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়াও ছিল বাইডেনের অন্যতম অস্ত্র। তবে দুজনই ইজরায়েলের প্রতি সমর্থন এবং চিনের প্রতি কড়া মনোভাব ব্যাক্ত করেছেন। পাশাপাশি পুতিন প্রসঙ্গে ট্রাম্পকে প্রাথমিক ভাবে বিষয়টি এড়িয়ে যেতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু পরে তিনি বলেন, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের ক্ষেত্রে পুতিনের শর্তে তাঁর সায় নেই। বাইডেন অবশ্য রীতিমতো কড়া সুরে জানিয়ে দিয়েছেন, পুতিন একজন যুদ্ধাপরাধী।
দশকের পর দশক ধরে মার্কিন ‘প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট’ গভীর রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সেই তুলনায় বাইডেন-ট্রাম্পের এদিনের কথোপকথন ছিল অনেকটাই নিষ্প্রভ। সেজন্য অবশ্য অনেকটাই দায়ী অনুষ্ঠানের ফরম্যাট। একজন যখন কথা বলছেন, তখন অন্যজনের মাইক্রোফোন ছিল ‘মিউট’ করা। তাই সব মিলিয়ে বিতর্কটি অনেকটাই সাংবাদিক বৈঠকের মতো হয়ে ওঠে, যেখানে বক্তারা পালা করে নিজেদের বক্তব্য রাখছিলেন। ফলে সেই অর্থে প্রত্যাশা পূরণ হল না দর্শকদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.