সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জল মানে জীবন–এই আপ্ত বাক্যকে মাথায় রেখেই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে এক বিন্দু জলের খোঁজে হন্যে হয়ে ফেরেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা৷ জল, সে কাদার মধ্যেই হোক বা জমাট বাঁধা বরফের সমুদ্রে–খুঁজে পেলেই হল৷ সঙ্গে সঙ্গেই উৎসাহের জোয়ার ওঠে বিজ্ঞানীদের মধ্যে৷ সেদিক থেকে দেখলে সাম্প্রতিকতম আবিষ্কারটি বেশ আশাব্যাঞ্জক৷ কেন না এবার আর স্রেফ কাদা নয়, রীতিমতো বৃষ্টির সম্ভাবনাই খুঁজে পেতে আবিষ্কার করে ফেলেছেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা৷ সৌরজগতের বাইরে খয়েরি রঙের এক বিশাল না-গ্রহ, না-নক্ষত্রের আকাশে জলদগম্ভীর মেঘের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা৷ যা আগে কখনও হয়নি৷ পৃথিবী থেকে ৭.২ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান ওই না-গ্রহ, না-নক্ষত্রের নাম ওয়াইস ০৮৫৫৷ বছর দুয়েক আগে তাকে আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানীরা৷ বৃহস্পতির থেকে আকারে প্রায় পাঁচ গুণ বড় ওয়াইস ০৮৫৫-কে ‘ব্যর্থ নক্ষত্র’ বা ফেইলড স্টার বলে তখন চিহিত করেন বিজ্ঞানীরা৷
কিন্তু, পৃথিবী থেকে অনেক দূরে থাকায় স্পেকট্রোস্কপির সাহায্যে তার সম্পর্কে বিশেষ তথ্য সংগ্রহ করা যায়নি৷ সম্প্রতি হাওয়াইয়ের জেমিনি নর্থ টেলিস্কোপে ধরা পড়েছে খয়েরি রঙের ওই ব্যর্থ নক্ষত্রের ছবি৷ দেখা গিয়েছে বাষ্পের মতো ওয়াইস ০৮৫৫-এর চারপাশে ঘিরে রয়েছে জলভরা মেঘ৷ দেখতে অনেকটা বৃহস্পতির মতো ওই ব্যর্থ নক্ষত্রের তাপমাত্রা বৃহস্পতির থেকেও অনেকটা কম, প্রায় ২৫০ ডিগ্রি কেলভিন (মাইনাস ১০ ডিগ্রি ফারেনহাইট)৷ সেখানে বৃহস্পতির তাপমাত্রা ১৩০ ডিগ্রি কেলভিন৷ এত ঠান্ডায় কীভাবে জলভরা মেঘ রয়েছে তা নিয়ে অবশ্য এখনও ধন্দে রয়েছেন বিজ্ঞানীরা৷ তবে হাল ছাড়তে তাঁরা নারাজ৷ ওয়াইস ০৮৫৫ নিয়ে জোরদার গবেষণা শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা৷ কে জানে–জলভরা মেঘ কখনও বৃষ্টি হয়ে যদি ঝরে পড়ে তবে ওয়াইস ০৮৫৫-এর খয়েরি মাটিতে লাগলেও লাগতে পারে সবুজের ছোঁয়া৷ তাই ওয়াইসে প্রাণের অনুকূল পরিস্থিতি নিয়ে শুরু হয়েছে বিশ্লেষণ৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.