Advertisement
Advertisement

Breaking News

এই জনমত ‘প্রভাবিত’, হংকং নির্বাচন নিয়ে প্রতিক্রিয়া চিনের

৯০ শতাংশ আসনেই জয়ী হয়েছেন গণতন্ত্রকামীরা।

Beijing responds to Hong Kong election results after big win for democrats
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:November 27, 2019 11:40 am
  • Updated:November 27, 2019 11:40 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হংকংয়ের নির্বাচনে গণতন্ত্রকামীদের বিপুল জয়ে প্রতিক্রিয়া দিল চিন। প্রত্যাশামতোই সরকার নিয়ন্ত্রিত চিনা সংবাদমাধ্যমের দাবি, জনতার রায়কে ‘প্রভাবিত’ করা হয়ছে। এর ফলে প্রদেশটির গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ধাক্কা খেয়েছে।

গণ আন্দোলনের মাঝেই গত রবিবার হংকংয়ে ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল ভোটে শামিল হয় জনতা। ফলাফল বেরলে দেখা যায়, কার্যত ধূলিস্মাৎ হয়ে গিয়েছে চিনপন্থী প্রশাসক ক্যারি ল্যামের দল। ৪৫২টি আসনের মধ্যে ৯০ শতাংশ আসনেই জয়ী হন গণতন্ত্রকামীরা। বিগত চার মাস ধরে হংকংয়ে চলা বিক্ষোভের জেরে যে চিনা প্রশাসন ও ‘পুতুল’ প্রশাসক ল্যামের বিরুদ্ধে বিপুল জনরোষ তৈরি হয়েছে তা নির্বাচনের ফলেই স্পষ্ট। চিনা কম্যুনিস্ট পার্টির মুখপাত্র ‘চাইনা ডেইলি’র সম্পাদকীয় কলামে বলা হয়েছে, ‘এই ফলাফল হংকংয়ের গণতান্ত্রিক উন্নয়নের পরিপন্থী। বিরোধীরা বেআইনিভাবে নিজেদের প্রার্থীকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে। বিক্ষোভকারীর প্রতিষ্ঠানপন্থীদের ভোট দিতে দেয়নি।’

Advertisement

উল্লেখ্য, হংকংয়ের ডিসট্রিক্ট কাউন্সিলরদের খুব সামান্য রাজনৈতিক ক্ষমতা থাকে। তারা মূলত স্থানীয় ইস্যু, যেমন পরিবহনের রুট বা পরিকাঠামো নির্মাণ আদি বিষয় নিয়ে কাজ করেন। রাজনৈতিক ক্ষমতা না থাকা বা কম থাকার কারণেই এই নির্বাচন নিয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে তেমন আগ্রহ থাকে না। কিন্তু এই কাউন্সিলররাই ১১৭ জন সদস্যকে নির্বাচন করেন, যারা ১২০০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে যাবেন যে কমিটি হংকংয়ের প্রধান প্রশাসককে নির্বাচন করবেন। যাকে পরে চিন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ দেয়। ফলে এবারের নির্বাচনে গণতন্ত্রের দাবিতে বিপুল হারে ভোট দিয়েছে জনতা।

প্রসঙ্গত, গত মাসেই বিতর্কিত প্রত্যর্পণ বিল রদ করার কথা ঘোষণা করেন হংকংয়ের নিরাপত্তা মন্ত্রী জন লি৷ তবে এতেও থামেনি বিক্ষোভ৷ পালটা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আরও জোরদার হয়ে উঠে আন্দোলন৷ উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে ‘2019 Hong Kong extradition bill’ নামের একটি বিল আনে ক্যারি ল্যামের প্রশাসন৷ বিলটি আইনে পরিণত হলে অপরাধীদের চিনের হাতে সঁপে দেওয়ার ক্ষমতা চলে আসত হংকং প্রশাসনের হাতে৷ গণতন্ত্রের বারুদে এই প্রস্তাবই কার্যত স্ফুলিঙ্গের কাজ করে৷ প্রবল জনমত বিস্ফোরণ ঘটে স্বায়ত্বশাসিত প্রদেশটিতে৷ কম্যুনিস্ট চিনের শৃঙ্খল ভেঙে ফেলতে রাস্তায় নেমে পড়েন লক্ষ লক্ষ মানুষ৷

[আরও পড়ুন: বিক্ষোভে উত্তাল হংকং, অন্তঃসত্ত্বার মুখে পিপার স্প্রে পুলিশের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement