সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩০০ বছরের রাজতন্ত্রের অবসান। ব্রিটিশ রাজবংশের আনুগত্য ছেড়ে সাধারণতন্ত্র রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে ক্যারিবিয়ান দ্বীপটি। মঙ্গলবারই বিশ্বের নবতম সাধারণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হতে চলেছে বার্বাডোজ (Barbados)।
সমুদ্র সৈকত ও ক্রিকেটর প্রতি প্রেমের জন্য বিশ্বে জনপ্রিয় ক্যারিবিয়ান (Caribian Island) দ্বীপটি। কিন্তু ব্রিটিশ শাসনের অধীনে দীর্ঘদিন দাসত্বের শৃঙ্খল বইতে হয়েছে তাদের। স্বাধীনতার পরও অধীনতার শৃঙ্খল থেকে পুরোপুরি মুক্তি পায়নি তারা। দেশবাসীর মাথার উপর অদৃশ্য ছড়ি ঘুরিয়েছে ব্রিটেনের রানি। এবার ব্রিটিশ রাজবংশের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করতে চলেছে বার্বাডোজ।
সোমবার সন্ধে থেকে শুরু হবে সরকারি অনুষ্ঠান। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেবেন সান্ড্রা মাসন (Sandra Mason)। বর্তমানে তিনি ব্রিটেনের রাজ পরিবারের প্রতিনিধি হিসেবে বার্বাডোজের দেখভাল করেন। তাঁর হাতে দায়িত্বভার তুলে দেবেন ব্রিটেনের রাজ পরিবারের বংশধর প্রিন্স চার্লস। সামরিক কুচকাওয়াজের মাধ্যমে দায়িত্বের হাতবদল হতে চলেছে বলে খবর।
আঠারো শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত ব্রিটেনের রাজ পরিবারের ‘দাস’ ছিল বার্বাডোজ। ১৮৩৬ সালে সেই দাসত্ব প্রথা অবলুপ্ত হয়। কিন্তু স্বাধীনতা আসেনি। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অংশ ছিল দেশটি। রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর ১৯৩৬ সালে স্বাধীনতা পায় ক্যারিবিয়ান দ্বীপটি। তারপরেও রাজতন্ত্র কায়েম ছিল সে দেশে। সরাসরি না হলে বকলমে দেশের সমস্ত কিছুই নিয়ন্ত্রণ করত ব্রিটেনের রাজপরিবার ও তাদের প্রতিনিধি। এবার সেই প্রথার অবসান। রাজতন্ত্রের বদলে সাধারণতন্ত্র কায়েম হবে বার্বাডোজে। তবে ক্ষমতার এই হাতবদল নিয়েও ২ লক্ষ ৮৫ হাজার বাসিন্দার এই দেশে বিতর্ক রয়েছে।
গত বছরই সে দেশের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মোট্টেলে জানিয়েছিলেন, ব্রিটিশ উপনিবেশের দিন শেষ। এবার নতুন সূর্ষ দেখবে বার্বাডোজ। এর পরই অক্টোবর মাসে বার্বাডোজের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হন মাসন। তবে বার্বাডোজের বাসিন্দাদের আক্ষেপ, “ক্ষমতার হাতবদল হলেও দেশের প্রকৃত সমস্যা সমাধানে নজর দেয় না কেউ-ই। আমরা যে তিমিরে ছিলাম, সেখানেই থেকে যাই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.