Advertisement
Advertisement

দূষণের কবলে ব্যাঙ্কক, চোখে-নাকে জ্বালা নিয়ে বাড়ছে অসুস্থতা

কৃত্রিম মেঘ তৈরি করে বৃষ্টি নামানোর চেষ্টা।

Bankok struggles against pollution
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:February 4, 2019 6:49 pm
  • Updated:February 4, 2019 6:49 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কারও লাল চোখ, তো কারও মুখে মুখোশ। কারও আবার নাক থেকে রক্তপাত। সেইসঙ্গে যন্ত্রণার কথা আর সাবধানবাণী। এ সবই সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়ছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোয়। ছবিগুলো ব্যাঙ্ককের। কোনও হিংসার ঘটনা নয়। নিজেদের অসুস্থতার কথা এভাবেই নেটদুনিয়ায় জানিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করছেন ব্যাঙ্ককবাসী। এ অসুখ দূষণজনিত। থাইল্যান্ডের রাজধানীর বাতাসে তীব্র দূষণ, ধোঁয়াশা। রাস্তায় বেরোলে অসুস্থতা অবধারিত। সেই অসুস্থতা কখনও কখনও রীতিমতো কাবু করে ফেলছে রোগীকে। অনেক সময় তা কাটিয়ে উঠতে দীর্ঘ সময় লাগছে।

বাতাসে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ধূলিকণা। ঘন হয়ে মিশে রয়েছে বায়ুস্তরে। এটাই দূষণ ছড়ানোর যথেষ্ট কারণ। তাতে ছিটেফোঁটা বৃষ্টির জল পড়লেই, বাড়ছে দূষণের মাত্রা। থাইল্যান্ডের দূষণ নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের মতে, ধূলিকণা আর জলের মিশ্রণ বাতাসের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা দূষণমাত্রা বাড়িয়ে তুলছে। সপ্তাহখানেক ধরে এমন পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন প্রশাসনও। আবহাওয়াবিদদের মতে, কলকারখানার দূষণ, শস্য পোড়ানো এবং রাস্তাঘাটের বাড়তি যানবাহনেই এই পরিস্থিতি রাজধানী শহরের। ঠিক যেমন দিল্লির ক্ষেত্রে হয়েছিল। সেখানেও ঠিক একই কারণে দূষণের মাত্রা বেশি। দূষণের সূচক মাত্রায় ব্যাঙ্কক এই মুহূর্তে উঠে এসেছে ৫ নম্বরে, যা দিল্লির চেয়ে অনেকটাই নিচে। সমাধান হিসেবে কৃত্রিমভাবে মেঘ তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যাতে তুমুল বৃষ্টি নামে। তাহলেই দূষণমুক্ত হবে ব্যাঙ্ককের বাতাস।

Advertisement

                                         ‘নেপাল-ভুটান তো ভারতেরই অংশ’, বেফাঁস মন্তব্যে হাসির খোরাক ট্রাম্প

সোশ্যাল মিডিয়া তো বটেই, টেলিভিশন অনুষ্ঠানের মাধ্যমেও বাড়ছে সচেতনতামূলক প্রচার। এই সমস্যা এড়াতে কে, কোন ধরনের মাস্ক ব্যবহার করবেন, তার বিশদ বিবরণ দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, নিজের যত্নে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মাস্ক ব্যবহার করা। সামনেই আসছে চিনা নববর্ষ। থাইল্যান্ড-সহ এশিয়ার নানা দেশে এটাই নতুন বছর। এসময়ে উৎসবের মরসুম। নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে আতসবাজি প্রদর্শনীও এখানকার একটি বড় আকর্ষণ। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এই সময়ে আতসবাজি পোড়াবেন না, তাহলে পরিস্থিতি আরও দুরূহ হয়ে পড়বে। তখন ব্যাঙ্ককের বাতাসে শ্বাস নেওয়াই কঠিন হবে। তাই নিজেদের ভাল রাখতে এবারের নববর্ষে আনন্দ, উৎসব একটু কমই হোক।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement