তবে এই মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছে জাহাঙ্গীর-সহ ছয় অভিযুক্ত।
সুকুমার সরকার, ঢাকা: আওয়ামি লিগ নেতা হত্যায় দোষী সাত জামাত জঙ্গির ফাঁসির সাজা। রবিবার রংপুরের বিশেষ জজ আদালত এই সাজা ঘোষণা করে। প্রায় তিন বছর ধরে চলা রহমত আলি হত্যা মামলার শুনানির শেষে রায় দান করেন বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার।
[বয়সকে থোড়াই কেয়ার, শহরে প্রেমের ফুল ফোটাচ্ছেন প্রবীণরা]
এদিন জেহাদি সংগঠন জেএমবি-র আঞ্চলিক কমান্ডার মাসুদ রানা-সহ সাত জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। অন্য সাজাপ্রাপ্ত দের নাম- ইসহাক আলি (৩৪), লিটন মিয়া ওরফে রফিক (৩২), সাখাওয়াত হোসেন ওরফে রাহুল (৩০), সরওয়ার হোসেন সাবু ওরফে মিজান (৩৩), চাঁদু মিয়া (২০), বিজয় ওরফে আলি ওরফে দর্জি (৩০)। দোষী সাব্যস্তরা প্রত্যেকেই জামাতের সক্রিয় সদস্য। তবে এই মামলায় বেকসুর খালাস করা হয় জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী-সহ ছয় অভিযুক্তকে। তাদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত প্রমাণ না থাকায় মুক্ত পেয়ে যায় সন্দেহভাজন জঙ্গিরা। আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলে, আসামিরা স্বল্পশিক্ষিত মানুষকে ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে বিপথে পরিচালিত করেছে। তারা ইসলামকে সন্ত্রাসবাদ ছড়াতে ব্যবহার করেছে।
২০১৫-র ১০ নভেম্বর রংপুরের কাউনিয়ায় চিকিৎসক ও আওয়ামি লিগ নেতা রহমত আলিকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। তদন্ত শেষে পুলিশ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলার অন্যতম আসামি মাসুদ রানা ছাত্রশিবিরের রাজনীতি করত। সেখান থেকে জেএমবি-র আঞ্চলিক কমান্ডার হিসেবে কাজ শুরু করে সে। উদ্বেগজনকভাবে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের মগজধোলাই শুরু করেছে জেএমবি। বিশেষ করে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়াদের ধর্মীয় ইন্মাদনার মুখে ঠেলে দিচ্ছে মৌলবাদীরা। এই পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে কড়া পদক্ষেপ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে জেহাদি শক্তিদের উত্থান ক্রমশই জটিল রূপ নিচ্ছে বাংলাদেশে।
[‘কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল না’, অভিশপ্ত ফ্লাইট ২১১ নিয়ে ঢাকার বিস্ফোরক দাবি]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.