সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বালোচিস্তানের মানবাধিকার কর্মীদের অপহরণ করে তাঁদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে পাক সরকার৷ আর পুরোটাই হচ্ছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর অঙ্গুলিহেলনে৷ এই অভিযোগে ইমরান খান সরকার ও পাক সেনার বিরুদ্ধে পথে নামলেন বালোচিস্তানের পড়ুয়ারা৷ পাশে দাঁড়ালেন অপহৃত ওই সমস্ত মানবাধিকার কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের৷
[আমেরিকাকে বুড়ো আঙুল, ফের গোপন অস্ত্রের পরীক্ষা কিমের]
Baloch students in Karachi&Islamabad carried out protests in solidarity with the families of the Baloch missing persons protesting in Quetta. They demanded immediate release of thousands of Baloch and Pashtun activists allegedly kidnapped and being tortured by Pak ISI & the army pic.twitter.com/zUvAfxnRjy
— ANI (@ANI) November 17, 2018
শনিবার সকাল থেকে ইসলামাবাদ ও করাচির একাধিক স্থানে প্রথমে জমায়েত করেন পড়ুয়ারা৷ এরপর বিক্ষোভ মিছিলে তাঁরা হাজির হন কোয়েট্টা প্রেস ক্লাব ও করাচি প্রেস ক্লাবের সামনে৷ যেখানে প্রবল ঠাণ্ডার মধ্যে গত দু’সপ্তাহ ধরে অনশন পালন করছেন ওই অপহৃত মানবাধিকার কর্মীদের পরিবারের সদস্যরা৷ তাঁদের অভিযোগ, অপহরণ করা হয়েছে এক হাজারেরও বেশি মানবাধিকার কর্মীকে৷ যাঁরা পাক প্রশাসন ও সেনার বিরুদ্ধে মুখ খোলেন৷ বালোচিস্তানের মানুষদের উপর যে অত্যাচার চালাচ্ছে সেনা ও ইমরান খান প্রশাসন, সেই অত্যাচারের কাহিনী তাঁরা তুলে ধরেন বিশ্বের দরবারে৷ এই আক্রোশ থেকেই ওই ব্যক্তিদের অপহরণ করিয়েছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই৷ যদিও এই অভিযোগে কর্ণপাত করেনি না প্রশাসন৷ এই বিষয়ে কোনও বিবৃতিও জারি হয়নি প্রশাসনের তরফ থেকে৷
বালোচিস্তানের নাগরিকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রবাসী বালোচ নাগরিকরাও৷ ইমরান প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিন্দায় সরব হয়েছেন তাঁরাও৷ জার্মান নিবাসী বালোচ মানবাধিকার কর্মী আশরাফ শেরজান জানান, “নির্বাচনের আগে ইমরান খান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এলে অপহৃত বালোচ মানবাধিকার কর্মীদের খোঁজ করবে তাঁর সরকার৷ তাঁদের পরিবারের দাবি মেটানো হবে এবং বালোচ সমস্যার সমাধান করা হবে৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর নিজের প্রতিশ্রুতি ভুলে গিয়েছেন তিনি৷ বালোচদের সমস্যা একইভাবে রয়ে গিয়েছে৷” অপহৃত মানবাধিকার কর্মীদের শীঘ্রই মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বালোচ বংশোদ্ভূত জার্মান নাগরিক আট্টা বালোচ৷
[অ্যাপল ও ফেসবুক কর্তার টুইট-যুদ্ধে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া]
উল্লেখ্য, ২০১৫-তে স্বাক্ষর হওয়া মউয়ের ভিত্তিতে চিন-পাকিস্তানের মধ্যে অর্থনৈতিক করিডর বা সিপিইসি নির্মাণকার্য শুরু হয়েছে৷ চিনের প্রস্তাবিত ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’ নীতির উপর ভিত্তি করে, তাদের অর্থ সাহায্যেই এই করিডর তৈরি হচ্ছে৷ পাকিস্তানের গদর পোর্ট থেকে চিনের শিনজিং প্রদেশ পর্যন্ত মোট ২,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পথটি তৈরি করা হচ্ছে৷ এই করিডর নিয়ে প্রথম থেকেই বিক্ষোভ প্রদর্শন করে আসছেন বালোচিস্তান-সহ গিলগিট-বালতিস্তান ও পিওকে-র নাগরিকরা৷ অভিযোগ, পেশিশক্তির জোরে তাঁদের বাসভূমি কেড়ে নিয়ে এই করিডর তৈরি করছে পাকিস্তান৷ যাতে পূর্ণ মদত দিচ্ছে চিন৷ এই অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরেই পাক প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালাচ্ছেন বালোচ নাগরিকরা এবং তাঁদের উপর অকথ্য অত্যাচার চালাচ্ছে পাক সেনা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.