সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাজাখস্তানে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার নেপথ্যে কি রাশিয়া? বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, ভুলবশত রুশ সেনার ক্ষেপণাস্ত্র অথবা বিমান বিধ্বংসী গুলিতেই ঝাঁজরা হয় আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের ওই বিমানটি। বিমানের গায়ে বুলেট লাগার মতো একাধিক ক্ষত দেখা গিয়েছে। যা নিয়ে রহস্য ঘনাচ্ছে। বাস্তবেই রুশ সেনার হামলায় দুর্ঘটনা ঘটে থাকলে তার চেয়ে মর্মান্তিক কিছু হতে পারে না।
আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের ইআরজে-১৯০ বিমানটি বুধবার আক্তৌ বিমানবন্দরে অবতরণের আগে ভেঙে পড়ে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল, সম্ভবত মাঝআকাশে পাখির সঙ্গে ধাক্কায় নিয়ন্ত্রণ হারায় বিমানটি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দ্রুত অবতরণ করতে চেয়েছিলেন পাইলট। তবে তার আগেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে যায়। যদিও ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, এএফপির মতো সংবাদসংস্থা বিমানের ছোট-বড় ক্ষতচিহ্নগুলির কথা উল্লেখ করেছে। সত্যিই কি রুশ সেনার হামলাতেই বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে?
আকাশে যে পথ দিয়ে উড়ছিল আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের বিমানটি, চেচিনিয়া প্রদেশের রাজধানী গ্রোজনির কাছে সেই পথেই রাশিয়ায় ড্রোন আক্রমণ চালায় ইউক্রেন সেনা। ফলে ওই অঞ্চলে আঁটসাঁট প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে পুতিনের সেনার। মনে করা হচ্ছে, ভুল করে বিমান বিধ্বংসী হামলা চালানো হয়েছে ওই বিমানে। তার ফলেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। বেশ কয়েকজন জীবিত যাত্রীর দাবি, গ্রোজনি বিমানবন্দরে অবতরণের অনুমতি চান পাইলট। যা প্রত্যাখ্যাত হয়। এর পরই ভয়ংকর বিস্ফোরণের শব্দ শোনেন তাঁরা। ইউকে টেলিগ্রাফের দাবি, ওই বিস্ফোরণ ঘটেছিল বিমানের অক্সিজেন ট্যাঙ্কে। ইতিমধ্যে উদ্ধার হয়েছে বিমানের ব্ল্যাকবক্স এবং ভয়েস ডাটা রেকর্ডার। তা খতিয়ে দেখলেই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
কাজাখস্তানের পরিবহন বিভাগের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে দাবি করা হয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্থ বিমানটিতে ৬২ জন যাত্রী ও ৫ জন ক্রু মেম্বার ছিলেন। সব মিলিয়ে যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৬৭ জন। যার মধ্যে ৩৭ জন আজারবাইজানের, ১৬ জন রাশিয়ার, কাজাখস্তানের ৬ জন ও অন্যান্য আরও ৩ যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.