সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের বিস্তীর্ণ অংশ জ্বলছে দাবানলে। তা নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম দশা দমকল কর্মীদের। চিন্তার ভাঁজ ক্রমশই চওড়া হচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যদের কপালে। এমন এক জরুরিকালীন পরিস্থিতিতে দেশের প্রধানমন্ত্রী ছুটি কাটাচ্ছেন হাওয়াই দ্বীপে। টনক নড়ার পর তড়িঘড়ি সফর কাটছাঁট করে দেশে ফিরছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। এবং যা সাফাই দিচ্ছেন, তাতে সমালোচনার ঝাঁজ বেড়েই গিয়েছে। যদিও এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজের জন্য তিনি দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন।
দেশে ফিরে কী বললেন স্কট মরিসন? তাঁর কথায়, ”বুঝতে পেরেছি যে যেখানে দেশের মানুষ নিজেদের পরিবার নিয়ে উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন, সেখানে আমি পরিবার নিয়ে ছুটি কাটাচ্ছি, এটা জানতে পারলে তাঁদের কী প্রতিক্রিয়া হবে। তবে আমাদের দমকল বিভাগ এত ভাল করে কাজ করছে, যা বিশ্বের এক নম্বর বললেও ভুল হয় না।” কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এহেন মন্তব্যে যেন আরও গর্জে উঠেছেন দেশবাসীর একাংশ।
এমনিতেই এই দাবানলের জন্য তাঁরা জলবায়ু পরিবর্তনে প্রশাসনের উদাসীন ভূমিকাকে দায়ী করেছেন। তবে সেই দাবিও উড়িয়ে স্কট মরিসনের দাবি, ”সামগ্রিকভাবে বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার দাবানলে। কিন্তু তার সঙ্গে আমাদের ভূমিকাকে জুড়ে দেওয়া মোটেই যুক্তিযুক্ত নয়।”
তবে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা অনেক আগে থেকেই উষ্ণায়নের বিপদ সম্পর্কে অস্ট্রেলিয়াকে সচেতন করেছিলেন। নিউ সাউথ ওয়েলস, ভিক্টোরিয়ার বনাঞ্চল এমনিতেই দাবানলপ্রবণ। আগেও বেশ কয়েকবার এর অভিশাপ নেমে এসেছে এ দেশে। কিন্তু তাতে গুরুত্ব দেয়নি প্রশাসন। আর এবারের নিয়ন্ত্রণহীন দাবানল সামগ্রিকভাবেই উষ্ণতা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। যা বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবকেই ত্বরান্বিত করছে।
রবিবার হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আগামী সপ্তাহের মঙ্গল বা বুধবার বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তাহলেই জঙ্গলের আগুন নিভতে পারে। নাহলে এই আগুন দমকল দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে ক্রিসমাসের ছুটিতে অস্ট্রেলিয়া সফর বাতিলের ঘোষণা করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। তবে এসবের মাঝে সবচেয়ে সমালোচিত হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.