Advertisement
Advertisement
China

ফের চিনকে ধাক্কা অস্ট্রেলিয়ার, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে বাতিল হতে পারে বন্দর চুক্তি

কয়েকদিন আগে চিনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ চুক্তি বাতিল করে অস্ট্রেলিয়া।

Australia reviewing lease of Darwin port to Chinese firm | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:May 4, 2021 9:33 am
  • Updated:May 4, 2021 9:33 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা মহামারীর দাপটে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। বিশ্বের তাবড় দেশ যখন এই মারণরোগের মোকাবিলায় ব্যস্ত, তখন নিজের সামরিক ও কৌশলগত লক্ষ্যের দিকে দ্রুত এগোচ্ছে চিন (China)। ফলে রীতিমতো চিন্তায় পড়েছে অস্ট্রেলিয়া। তাই টানাপোড়েন বাড়িয়ে এবার বেজিংয়ের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে ক্যানবেরা।

[আরও পড়ুন: ইরাকের মার্কিন সেনাঘাঁটিতে ফের রকেট হামলা, ইরানের ঘাড়ে দোষ চাপাল আমেরিকা]

অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলের সময় ডারউইন বাণিজ্যিক ও সামরিক বন্দরটি ‘ল্যান্ডব্রিজ’ নামের একটি চিনা সংস্থাকে লিজ দেয় দেশটি। পরে জানা যায় যে, সংস্থাটির মালিক ধনকুবের ইয়ে চ্যাং লালফৌজের অত্যন্ত ঘনিষ্টমহলে রয়েছেন। প্রশান্ত মহাসাগরের অতি গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল এলাকায় অবস্থিত ওই বন্দর চিনা সংস্থাকে লিজ় দেওয়া নিয়ে প্রবল অসন্তোষ জানিয়েছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তৎকালীন অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলকে সে কথা তিনি জানিয়েওছিলেন। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই দেশের নিরাপত্তা নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। লিজ বাতিল করার দাবি জোরাল হচ্ছে। ফলে চাপের মুখে পড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। রয়টার্স সূত্রে খবর, অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটি আপাতত প্রতিরক্ষা দপ্তরকে এই বিষয়ে নিজের মতামত জানাতে বলেছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিটার ডাটন সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন। বর্তমান অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন অবশ্য স্পষ্ট জানিয়েছেন, জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে কোনও মতেই বিদেশি কোনও সংস্থাকে ওই বন্দর আর ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না। বিদেশি বিনিয়োগ আইনের সংশোধনীর কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। ওই আইন মতে সরকার প্রয়োজন মনে করলে লিজ বা বিনিয়োগ সংক্রান্ত অন্য কোনও সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পারে।

Advertisement

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে চিনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ চুক্তি বাতিল করে অস্ট্রেলিয়া। ফলে রীতিমতো ক্ষুব্ধ বেজিং। খানিকটা হুমকির সুরেই শি জিনপিং প্রশাসনের বার্তা, “এর ফলে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে দুই দেশের সম্পর্ক।” প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলে চিন।যদিও সিদ্ধান্তে অনড় থাকার কথা জানিয়েছে ক্যানবেরা (Australia)। ভিক্টোরিয়া প্রশাসনের এই চুক্তি বাতিল করে দেয় অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল সরকার। সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাফ জানান, কাউকে প্রচারের সুবিধা করে দিতে অস্ট্রেলিয়া নিজের দেশে কোনও বৃহৎ পরিকাঠামো নির্মাণকে অনুমোদন দিতে পারে না। তাই অস্ট্রেলিয়া সরকার ভিক্টোরিয়া প্রদেশ প্রশাসনের এই চুক্তি বাতিল করছে। উল্লেখ্য, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে ভূকৌশলগত অবস্থান দৃঢ় করতে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প এটি। চুক্তি বাতিলের পক্ষে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল সরকার জানিয়েছে, এই চুক্তি তাদের বিদেশনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

[আরও পড়ুন: মায়ানমারে শুরু গৃহযুদ্ধ! সামরিক জুন্টার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক বিদ্রোহীদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement