Advertisement
Advertisement

Breaking News

Gaza

নিরীহ মানুষের আশ্রয়ে বোমাবর্ষণ! ইজরায়েলি সেনার আক্রমণে গাজায় মৃত অন্তত ৯০

আহতের সংখ্যা অন্তত ৩০০।

At least 90 Palestinians killed in Gaza
Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:July 14, 2024 2:56 pm
  • Updated:July 14, 2024 2:56 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গাজায় হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত ইজরায়েলি সেনার! শনিবার ফের ভয়ংকর আঘাত হেনেছে তারা। এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৯০ জন প্যালেস্তিনীয়। এমনটাই দাবি গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের। তবে ইজরায়েল জানিয়েছে, হামাসের সামরিক প্রধান মহম্মদ দেইফকে খতম করতেই এদিন অভিযান চালানো হয়েছিল। 

গত ১০ মাসে কার্যত মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে গোটা গাজা ভূখণ্ড। হামাস জঙ্গিদের নাম মুছে ফেলতে হাসপাতাল, স্কুল, ধর্মীয়স্থান, শরণার্থী শিবির সব জায়গায় হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। ইহুদি দেশটির দাবি, ওই জায়গাগুলোতেই লুকিয়ে রয়েছে হামাস জেহাদিরা। এদিন গাজার আল মাওয়াসি এলাকায় ‘অগ্নিবর্ষণ’ করে ইজরায়েলি সেনা। এই অঞ্চলটিকে সাধারণ মানুষের আশ্রয়স্থল হিসাবে তৈরি করা হয়েছিল। ঘরছাড়া মানুষরা সেখানে তাঁবু খাটিয়ে বসবাস করছিলেন। রয়টার্স সূত্রে খবর, শেখ ইউসেফ নামে শরণার্থী জানিয়েছেন, “ইজরায়েলের হামলায় সমস্ত কিছু ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। চারদিকে মৃতদের টুকরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আমি সেই দৃশ্য বর্ণনা করতে পারব না।” গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৯০ জন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০০। গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই সংখ্যাটাই সবচেয়ে বেশি। মৃতদের মধ্যে মহিলা ও শিশুরাও রয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই’, গুলি খেয়েও বললেন ট্রাম্প

বলে রাখা ভালো, আল মাওয়াসি এলাকাটিকে নিরীহ মানুষের আশ্রয়ের জায়গা হিসাবে চিহ্নিত করেছিল ইজরায়েলি ফৌজ। যে ঘরহারারা কোনও মাথা গোঁজার ঠাঁই পাননি তাঁরাই এখানে আশ্রয় নিতেন। কিন্তু বারেবারে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে এখানে হামলা চালানোর। এদিনের হামলা নিয়ে মুখ খুলেছে ইজরায়েলি ফৌজ। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, হামাসের সামরিক প্রধান মহম্মদ দেইফকে নিকেশ করতেই এই অভিযান চালানো হয়েছিল। সাধারণ মানুষ তাদের টার্গেট নন। তবে ওই জেহাদি খতম হয়েছে কিনা তা নিয়ে এখনও কিছু জানায়নি তেল আভিভ।

এদিকে, ইজরায়েলের অভিযানের ফলে গাজায় তীব্র হয়েছে ওষুধের সংকটও। যা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো। গাজায় জারি রয়েছে মৃত্যুমিছিল। মৃতের সংখ্যা পেরিয়ে গিয়েছে ৩৮ হাজার। হাসপাতালগুলো উপচে পড়ছে মৃতদেহে। আহতের সংখ্যাও দিন দিন বেড়েই চলেছে। ফলে সবকিছু সামাল দিকে হিমশিম খেতে হচ্ছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকে। এর মাঝেই গত এপ্রিল মাস থেকে দেখা দিয়েছে ওষুধের আকাল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement