সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মা’ এই একটি অক্ষরের মধ্যে লুকিয়ে থাকে স্নেহ, ভালোবাসা, আবেগ, অনুভূতির মতো জীবনের গূঢ় তত্ব। ভয়ংকর যুদ্ধ শিশুদের থেকে কেড়ে নিচ্ছে সেই সব পেয়েছির আঁচল। তথ্য বলছে, রক্তস্নাত গাজার (Gaza) মাটিতে প্রতিদিন মাতৃহারা হচ্ছে ৩৭ শিশু। শুধু তাই নয়, দিন যত গড়াচ্ছে গাজায় জল ও খাদ্য সংকট আরও চরম আকার নিচ্ছে। যার জেরে বিপদের মুখে সেখানকার লক্ষাধিক গর্ভবতী মহিলা।
গত শুক্রবার এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনেছে প্যালেস্টাইন (Palestine) উদ্বাস্তুদের হয়ে কাজ করা রাষ্ট্রপুঞ্জের সংস্থা। তাদের তরফে দাবি করা হয়েছে, গাজার মাটিতে মহিলাদের সবচেয়ে বেশি টার্গেট করছে ইজরায়েলের সেনাবাহিনী (Israel Army)। ওই সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, পরিস্থিতি যা তাতে গাজায় এখন মহিলাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু হয়েছে। রিপোর্ট বলছে, গাজার মাটিতে এখনও পর্যন্ত ১০ হাজার মহিলাকে হত্যা করা হয়েছে এবং ১৯ হাজার মহিলা আহত। ওই রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, গাজায় বর্তমানে ১ লক্ষ ৫৫ হাজার গর্ভবতী ও এমন মহিলা রয়েছেন যাঁদের সন্তানরা দুগ্ধপান করে। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁদের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। বর্তমানে এখানে জল, খাবার তো বটেই ওষুধপত্রের যোগানও বন্ধ হয়েছে।
The war in #Gaza continues to be a war on women.
Over 10,000 women have been killed & 19,000 injured
37 children lose their mother every single day.
Conditions are appalling; +155,000 pregnant or breastfeeding women faced with severely limited access to water & sanitary items. pic.twitter.com/FbODTucXTe
— UNRWA (@UNRWA) May 3, 2024
গত ৭ মাস ধরে প্যালেস্টাইনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে ইজরায়েল। গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৬০০ প্যালেস্তিনীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৭৭ হাজার ৮০০ জন। যাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা ও শিশু। এদিকে হামাস নিধনে এখনও গাজায় আক্রমণ শানাচ্ছে ইজরায়েলি ফৌজ। আন্তর্জাতিক মহলের চাপ উপেক্ষা করে নিজের সিদ্ধান্তে অনড় নেতানিয়াহু। লক্ষ্য একটাই। হামাস জঙ্গিদের সমূলে নিধন।
সেই লক্ষ্যে রাফায় আক্রমণের ধার তীব্র করেছে ইজরায়েলি সেনা। দিন পাঁচেক আগেই রাফায় ‘অগ্নিবর্ষণ’ করেছিল তেল আভিভ। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত ১৩ জন। এখন রাফার ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কার প্রহর গুনছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। এই সবকিছুর মাঝেই এবার প্রকাশ্যে এল গাজায় মাতৃহারা শিশুদের চরম অবস্থার কথা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.