সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণতন্ত্রের দাবিতে উত্তাল মায়ানমার (Myanmar)। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করে বিক্ষোভ দমনে বন্দুকের আশ্রয় নিয়েছে সেনাবাহিনী। তবে সামরিক বুটের চাপেও জনতার জয়গান কিছুতেই থামছে না। এহেন পরিস্থিতিতে সোমবার ফের পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ২০ জন প্রতিবাদী।
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, রাজধানী নাইপিদাও থেকে শুরু করে ইয়াঙ্গন পর্যন্ত প্রায় সমস্ত বড় শহরে রাস্তায় সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে নেমে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। সেনার হাতে বন্দি নেত্রী আং সান সু কি’র মুক্তির দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, প্রায় ৩২টি চিনা সংস্থার কারখানায় হামলা চালিয়েছে জনতা। কারণ, টাটমাদাও বা বার্মিজ সেনার পাশে দাঁড়িয়েছে বেজিং। আর এতেই ক্ষিপ্ত গণতন্ত্রকামীরা। সোমবারও রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখান অনেকে। আর প্রতিবাদীদের থামাতে গুলি, টিয়ার গ্যাস দিয়ে হামলা চালায় নিরাপত্তারক্ষীরা। ফলে মৃত্যু হয় অন্তত ২০ জনের। মায়ানমারের রাজনীতি বিশ্লেষণ বিষয়ক বেসরকারি সংস্থা ‘Assistance Association for Political Prisoners’ জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। ফেব্রুয়ারি ১ তারিখে সেনার ক্ষমতা দখলের পর হিংসায় এপর্যন্ত প্রায় ১৮০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১ ফেব্রুয়ারি আচমকাই দেশের শাসনক্ষমতা নিজেদের হাতে তুলে নেয় মায়ানমার সেনা। পালটা ক্যু বা সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে পথে নামে দেশের আমজনতা। কোথাও তারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে, তো কোথাও আবার শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছে। কিন্তু আন সাং সু কি-পন্থীদের দমনে মরিয়া সে দেশের সেনা। আর সেই কারণেই নির্বিচারে দমন পীড়ন চালাচ্ছে তারা। এপর্যন্ত সেনার গুলিতে ৬০ জনের বেশি প্রতিবাদীর মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাস, জলকামান, রবার বুলেটের আঘাতে অনেকে আহত হয়েছেন। এদিকে, সংবাদমাধ্যমের কাছে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন এনএলডি নেত্রী আং সাং সু কি-র (Aung San Suu Kyi) আইনজীবী হিন মাউং জ। তাঁর আশঙ্কা, সু কি-কে নতুন ভাবে আইনি জালে জড়াতে পারে সেনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.