প্রতীকী ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হঠাৎ করেই বেড়ে গিয়েছে হার্ট অ্যাটাক ও সেরিব্রাল অ্যাটাক। সব সময় যে প্রাণঘাতী হচ্ছে তা নয়। শরীরের একটা অংশ অসাড় করে পঙ্গু বানিয়ে দিচ্ছে। রক্ত জমাট বাঁধিয়ে শিরা-ধমনীতে ‘থ্রম্বোসিস’ ঘটাচ্ছে। এর নেপথ্যে যে খলনায়ক রয়েছে তার সন্ধান চলছিল। এবার তার খোঁজ মিলল।
ব্রিটেনের হাই কোর্টে জমা দেওয়া আইনি নথিতে এই প্রথম ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা স্বীকার করে নিল যে, তাদের তৈরি কোভিড টিকা বিরল হলেও ‘থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম’ (টিটিএস) তৈরি করতে পারে। যা থেকে থ্রম্বোসিস, প্লেটলেট কমে যাওয়ার মতো একাধিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। বিশ্বব্যাপী ‘কোভিশিল্ড’ ও ‘ভ্যাক্সজেভরিয়া’ নামে কোভিডের টিকা বিক্রি করেছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থটি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় তৈরি করা টিকার জেরে গুরুতর শারীরিক সমস্যা এবং মৃত্যুর অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আদালতের বেশ কয়েকটি পরিবার অভিযোগ করেছে যে, অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মারাত্মক ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলেছে। চলতি মামলায় সংস্থাটির স্বীকারোক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে চলেছে মত বিশেষজ্ঞদের।
জানা গিয়েছে, মামলাটি দায়ের করেছিলেন জেমি স্কট নামে এক ব্যক্তি। ২০২১ সালের এপ্রিলে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন পাওয়ার পর তাঁর মস্তিষ্ক স্থায়ীভাবে অসাড় হয়ে যায়। সেই সূত্রেই আরও কয়েকটি ঘটনার কথা উঠে আসে, যেখানে থ্রম্বোসিসের লক্ষণ দেখা গিয়েছিল। এই স্বীকারোক্তি ব্যাপক আইনি জটিলতা তৈরি করবে এবং যদি কোম্পানি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন-জনিত অসুস্থতা বা মৃত্যু ঘটে তবে তাদের বিশাল অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দিতে হতে পারে। যদিও নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণে ব্রিটেনে আর অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকা দেওয়া হয় না। যদিও মহামারী মোকাবিলায় তা কিছুটা কার্যকারিতা দেখিয়েছে, কিন্তু বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলোর জেরে নিয়ন্ত্রক সংস্থার তদন্ত এবং আইনি লড়াই শুরু হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.