Advertisement
Advertisement
নেপাল

‘প্রয়োজনে যুদ্ধ হবে’, সীমান্ত বিবাদ নিয়ে ভারতকে হুমকি পুঁচকে নেপালের

'জয় মহাকালী আয়ো গোর্খালি' শুনে কারগিলে পাকিস্তানি সেনাদের বুক কেঁপে উঠেছিল।

Army chief Genaral Naravane has hurt Gurkha sentiments, says Nepal Minister
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:May 26, 2020 2:04 pm
  • Updated:May 26, 2020 2:22 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আয়তনে কতই বা বড়? ফৌজ একটা আছে বটে, তবে তা ঢাল নেই তরোয়াল নেই নিধিরাম সর্দার। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভারতকে যুদ্ধের হুঙ্কার দিল পুঁচকে নেপাল। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের এহেন আস্ফালনে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সাউথ ব্লকে। নেপথ্যে কারা কলকাঠি নাড়ছে তাও বুঝতে বাকি নেই বিশ্লেষকদের।

[আরও পড়ুন : ভারতের ভূখণ্ড নিজের বলে দাবি, নয়া মানচিত্র প্রকাশ নেপালের]

সদ্য ‘দ্য রাইসিং নেপাল’ পত্রিকাকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন নেপালের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ঈশ্বর পোখরেল। কালাপানি সীমান্তে দু’দেশের মধ্যে চলা বিবাদ নিয়ে পোখরেল বলেন, “ভারতীয় সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে নেপালের গোর্খাদের ভাবাবেগে আঘাত হেনেছেন। ভারতের জন্য বহু বলিদান দিয়েছেন গোর্খারা। কিন্তু তৃতীয় কোনও শক্তির প্ররোচনায় আমরা কালাপানি সীমান্তে বিবাদ করছি বলে যে অভিযোগ করেছেন ভারতের সেনাপ্রধান তা নিন্দনীয়। প্রয়োজনে নেপালি ফৌজ যুদ্ধ করবে।” শুধু তাই নয়, ভারতীয় সেনা কর্মরত গোর্খাদের উসকানি দিতে পোখরেল আরও বলেন, “ভারতের জন্য যে গোর্খা সৈনিকরা প্রাণের আহুতি দিয়েছেন তাঁদের ভাবাবেগে আঘাত করেছেন জেনারেল নারাভানে। ভারতীয় সেনপ্রধানের এহেন মন্তব্যে ভারতীয় সেনার গোর্খা জওয়ানরা স্বজাতির কাছে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবেন না।”

Advertisement

ব্রিটিশ আমল থেকেই ভারতীয় সেনায় সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে আসছেন গোর্খা জওয়ানরা। কারগিল যুদ্ধে গোর্খা রাইফেলস-এর জওয়ানদের রণহুঙ্কার ‘জয় মহাকালী আয়ো গোর্খালি’ শুনে পাকিস্তানি সেনাদের বুক কেঁপে উঠেছিল। বর্তমানে ভারতের ফৌজে প্রায় ৪০টি গোর্খা ব্যাটালিয়ন রয়েছে। তাদের সুড়সুড়ি দিয়ে ভড়কে দেওয়ার চেষ্টা করছেন নেপালের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই মানস সরোবর পর্যন্ত তীর্থযাত্রা আরও সুগম করতে ভারতের তৈরি নয়া সড়ক নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নেপাল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ভিডিও লিংকের মাধ্যমে উত্তরাখণ্ড থেকে লিপুলেখ পাস পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার লম্বা একটি সড়কের উদ্বোধন করেন। এই রাস্তা নিয়েই আপত্তি জানায় নেপাল। আর বন্ধু দেশের এহেন আচরণের নেপথ্যে রয়েছে চিন। সরাসরি নাম না করে এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে। সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে সেনাপ্রধান সাফ জানিয়েছিলেন, ভারত ও নেপালের মধ্যে গোলমাল বাধানোর চেষ্টা করছে অন্য এক শক্তি। পরোক্ষে তিনি যে চিনের দিকেই আঙুল তুলছেন তা স্পষ্ট। নারাভানে বলেন, “কয়েকদিন আগে নেপালের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, মহাকালি নদীর পূর্বের অংশ নেপালের। আমরা সড়ক তৈরি করেছি নদীটির পশ্চিমে। তা সত্ত্বেও কাঠমাণ্ডু ঠিক কেন প্রতিবাদ জানিয়েছে বলতে পারব না। তবে এই সব সমস্যা যে ওরা অন্য কারোর হয় তৈরি করছে সেটা মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে এবং এটা হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।”

[আরও পড়ুন : সড়ক নির্মাণ নিয়ে তুঙ্গে বিবাদ, ফৌজ মোতায়েন করে ভারতকে ‘হুমকি’ নেপালের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement