সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাংবাদিকতা পড়তে এলে একেবারে শুরুতেই শিক্ষার্থীদের শেখানো হয়, কর্মক্ষেত্রে কোনও বিশিষ্ট ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নিতে গেলে আগে ভাল করে ‘হোমওয়ার্ক’ করে নিতে হয়। যাঁর ইন্টারভিউ নেওয়া হবে, কোনও কারণে তার সম্পর্কে খুব বেশি জানা সম্ভব না হলেও অন্তত প্রাথমিক জ্ঞানটুকু নিয়ে যাওয়া জরুরি। নইলে ঘটনাস্থলে বেকায়দায় পড়তে হতে পারে।
এই প্রাথমিক জ্ঞানটুকুর অভাবে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে তুমুল হেনস্তার মুখে পড়তে হল ন্যাশনাল ব্রডকাস্টিং কোম্পানির (NBC) মহিলা সাংবাদিক মেগিন কেলিকে। তাঁকে নিয়ে নেটদুনিয়ায় দিনভর চলল ঠাট্টা, সমালোচনা। আছড়ে পড়ল একের পর এক তির্যক মন্তব্য। কিন্তু কী এমন করেছেন তিনি? কেনই বা তাঁর পেশাদারিত্ব নিয়েও উঠছে প্রশ্ন?
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার। সেন্ট পিটার্সবার্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন কেলি। প্রথমটায় বেশ হালকা মেজাজেই কথাবার্তা চলছিল। টুইটারে মেগানের প্রোফাইল পিকচারের প্রশংসা করেন মোদি। তার উত্তরে উপস্থিত সকলকে চমকে দিয়ে কেলি পাল্টা মোদির কাছে জানতে চান, “আপনি টুইটারে আছেন?” তাঁর এই প্রশ্নেই বেজায় চটেছেন নেটিজেনরা। তাঁদের বক্তব্য, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার নিতে এসেছেন যে সাংবাদিক, তিনি এটুকু জানেন না যে বিশ্বের তৃতীয় জনপ্রিয়তম নেতা নরেন্দ্র মোদি। টুইটারে তাঁর ৩ কোটিরও বেশি ফলোয়ার্স রয়েছে।
At state dinner party at Konstantin Palace in St. Petersburg with Russian President Putin and Indian PM Modi. More tonight @NBCNightlyNews pic.twitter.com/FX5kjfIJAf
— Megyn Kelly (@megynkelly) June 1, 2017
Before dinner, had a brief interaction with noted journalist & commentator @megynkelly, moderator of tomorrow’s session at the @SPIEF. pic.twitter.com/5CQ58Zn5hP
— Narendra Modi (@narendramodi) June 1, 2017
এরপরই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ও মাইক্রো ব্লগিং সাইটে মেগিন কেলি ও তাঁর চ্যানেলের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে। মেগিনের কাছে অনেকেই জানতে চান, রাশিয়াতে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক বৈঠকের মঞ্চে যোগ দিতে গিয়েছেন, অথচ উপস্থিত হাই প্রোফাইল নেতাদের সম্পর্কে ন্যূনতম পড়াশোনাটুকু করেননি কেন? অনেকে আবার কেলির এই মনোভাবকে মার্কিনিদের স্বাভাবিক ঔদ্ধত্য বলেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।
.@NBCNews @megynkelly asks @narendramodi ,the 3rd Most Followed World Leader on @Twitter ,”Are you on #Twitter ?”. She hasn’t done homework! pic.twitter.com/6KTVj3yY2G
— Swamiji (@AOLSwamiji) June 1, 2017
Dear @megynkelly here is ur twitter profile vs @narendramodi sir profile,still u ask that r u on twitter. Wats d population f ur country btw pic.twitter.com/bFcanO6iLP
— Kumar Amritansh (@Banarasi_Hindu) June 2, 2017
Dear self-obsessed Americans,yes @narendramodi is on Twitter and has more than 30 Million followers.
— Rohit (@guptarohit93) June 2, 2017
তবে সমালোচকরা যাই বলুক না কেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কিন্তু ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামাল দেন। তিনি কেলির প্রশ্নে হেসে ওঠেন। সরাসরি উত্তর এড়িয়ে যান।মোদির এই মনোভাবেরও প্রশংসা করেছেন নেটিজেনরা। তাঁদের বক্তব্য, ট্রাম্প বা পুতিনকে এই প্রশ্ন করলে তাঁরা হয়তো ওই সাক্ষাৎকারই বয়কট করতেন। শাস্তির মুখে পড়তে হত চ্যানেল বা সাংবাদিককে। কিন্তু মোদি সেই পথে না হেঁটে বুঝিয়ে দিলেন, কেন বিশ্ব জুড়ে তাঁকে নিয়ে এত উন্মাদনা। কেন তাঁকে গোটা দুনিয়ার মানুষ ভালবাসেন, অনুসরণ করেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.