Advertisement
Advertisement

Breaking News

মেহুল চোকসি

ভারতের প্রচেষ্টায় জল, মেহুল চোকসিকে গ্রেপ্তার করবে না অ্যান্টিগা

পিএনবি দুর্নীতিতে অন্যতম মূল অভিযুক্ত মেহুল চোকসি।

Antigua govt will not arrest PNB scam accused Mehul Choksi
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:May 13, 2019 11:17 am
  • Updated:May 13, 2019 11:17 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেহুল চোকসিকে গ্রেপ্তার করা হবে না।  সাফ জানাল অ্যান্টিগা সরকার।  এই ঘোষণায় গীতাঞ্জলি জেমসের কর্ণধারকে দেশে ফেরানো নিয়ে ভারতের যাবতীয় প্রচেষ্টা বড়সড় ধাক্কার মুখে৷

[হদিশ মিলল ২৬০০ বছরের পুরনো গাছের, হতবাক বিজ্ঞানীরা]

Advertisement

একটি সর্বভারতীয় সংবাদমধ্যম সূত্রে খবর, সোমবার সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অ্যান্টিগা জনিয়েছে, এখনই পিএনবি দুর্নীতিতে অন্যতম মূল অভিযুক্ত হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসিকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।  দীর্ঘদিন ধরেই চোকসিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে অ্যান্টিগার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিল কেন্দ্র সরকার।  গত মার্চ মাসে ‘দ্য সানডে টাইমস’-এর সাংবাদিক জন আর্লিজ এক প্রতিবেদনে দাবি করেছিলেন, মেহুল চোকসির পাসপোর্ট বাতিল করেত পারে অ্যান্টিগা সরকার। তিনি জানিয়েছিলেন, অ্যান্টিগার পাসপোর্ট পেতে করা আবেদনে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি মামলা নেই বলে জানিয়েছিলেন মেহুল। যা সর্বৈব মিথ্যা। যার ভিত্তিতে চোকসির বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা করতে পারে অ্যান্টিগা ও বারবুডা।

যদিও সমস্ত অভিযোগ খারিজ করেছিলেন চোকসি। আইনজীবী মারফত পাঠানো একটি চিঠিতে ফেরার এই ভারতীয় শিল্পপতি জানিয়েছিলেন, সমস্ত আইন মেনেই তিনি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিলেন। তারপরেই সেই আবেদন গৃহীত হয়। এখন যদি অ্যান্টিগার পাসপোর্ট বাতিল হয়, সেক্ষেত্রে কি চোকসিকে ভারতে ফিরতে বাধ্য করা যাবে? তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছিল। তবে এদিনের ঘোষণা সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছে।

পিএনবি দুর্নীতিতে অন্যতম মূল অভিযুক্ত মেহুল চোকসি।  তদন্ত শুরু হতে দেশ ছাড়েন তিনি।  তারপরই ২০১৮ সালে ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্র অ্যান্টিগার নাগরিকত্ব পান মেহুল। যেহেতু অ্যান্টিগার সঙ্গে ভারতের প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই তাই আইনের হাত এড়াতেই এই পথ নেন গীতাঞ্জলি জেমসের কর্ণধার। যদিও পলাতক চোকসিকে ফিরিয়ে আনার জন্য কূটনৈতিক স্তরে অ্যান্টিগা সরকারের উপর চাপ বাড়াচ্ছে ভারত। সম্প্রতি ব্রিটেনের একটি দৈনিক সংবাদপত্রের প্রকাশিত খবরে জানা গিয়েছে, ১৩টি দেশের একটি ছোট গোষ্ঠী বিশ্বজুড়ে আইডেন্টিটি ম্যানেজমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলেছে। নিজেদের দেশের পাসপোর্টকে সরকারি বন্ডের মতো একটি আন্তর্জাতিক সম্পত্তিতে পরিণত করে খোলা বাজারে বিক্রি করছে তারা। আর সেগুলির ফায়দা নিচ্ছেন প্রথম সারির অর্থনীতির দেশগুলিতে ভিসা ছাড়া প্রবেশ করতে পারেন না, এমন দেশগুলির ধনী ব্যক্তিরা। আর স্বাভাবিকভাবেই এদের মধ্যে মানবাধিকার ভঙ্গকারী, আর্থিক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ও অন্যান্য অপরাধীদের সংখ্যা সর্বাধিক। এই ১৩টি দেশের মধ্যে অন্যতম অ্যান্টিগা। তাদের এই নীতির ফলে সন্ত্রাসবাদীদের সুবিধা হচ্ছে বলে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। 

 [আফগানিস্তানে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত মহিলা সাংবাদিক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement