Advertisement
Advertisement

Breaking News

ট্রাম্প-কিম ঐতিহাসিক বৈঠকের সমস্ত খরচ বহনে ইচ্ছুক নোবেলজয়ী এই সংস্থা

ঠিক কত টাকা খরচ করছে সংস্থাটি, জানেন?

Anti-nuke Nobel winner group ICAN proposes to finance Trump-Kim meet
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 4, 2018 9:07 pm
  • Updated:June 4, 2018 9:07 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমগ্র বিশ্বে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ সংক্রান্ত সফল প্রচার চালানোর জন্য গতবছর নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিল ‘আইক্যান’৷ বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আবারও এক অভিনব প্রচেষ্টা নিয়ে সংবাদ শিরোনামে উঠে এল তারা৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের আসন্ন বৈঠকের সমস্ত খরচ বহন করার দায়িত্ব নিতে চাইল তারা৷ নোবেল শান্তি পুরস্কারের বিনিময়ে যে আর্থিকমূল্য পেয়েছিল সংস্থাটি, সেই অর্থই ১২ জুন সিঙ্গাপুরের ঐতিহাসিক বৈঠকে কাজে লাগাতে চাইছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ৷

[কিমের সঙ্গে দেখা করবেন আসাদ, অশনিসংকেত দেখছে আমেরিকা]

Advertisement

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরানুযায়ী, ট্রাম্প-কিম বৈঠকের খরচ ও নিরাপত্তা নিয়ে কিছুটা আশঙ্কিত হয়ে রয়েছে পিয়ংইয়ং৷ তাদের ভাবনায় প্রথমেই রয়েছে, সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট কিম ও তাঁর সহযোগীদের থাকার বিপুল খরচ কোথা থেকে আসবে৷ দ্বিতীয়ত, যে কিম কোনওদিন উত্তর কোরিয়ার বাইরে জাননি, তাঁর নিরাপত্তার ব্যবস্থা কী হবে৷ এমন পরিস্থিতিতে এগিয়ে এসেছে শান্তিতে নোবেল পাওয়া সংস্থা The International Campaign to Abolish Nuclear Weapons (ICAN)৷ নোবেল পুরস্কারের সঙ্গে পুরস্কার মূল্য হিসাবে তাঁরা পেয়েছিল ৯ মিলিয়ন সুইডিস ক্রাউন বা ১.০২ মিলিয়ন ডলার৷ এই আর্থিক মূল্যই বিশ্বের যুযুধান দু’পক্ষের শান্তি বৈঠকে ব্যয় করতে চাইছে সংস্থাটি৷ জানান আইক্যানের অন্যতম অধিকর্তা আকিরা কাওয়াসাকি৷

[পরমাণু বোমা থেকে বাঁচতে তৈরি গোপন বাঙ্কার, ঠিকানা লুকোতে কারিগরকেই খুন]

ট্রাম্প ও কিম মধ্যে হতে চলা এই বৈঠক নিয়ে প্রথম থেকেই উত্তেজনায় ফুটছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল৷ সীমান্তবর্তী ডিমিলিটারাইজড জোনের পিস হাউসে গতমাসেই হাত মিলিয়েছিলেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া৷ দীর্ঘ প্রায় ৬৫ বছরের শত্রুতা ভুলে করমর্দন করতে দেখা গিয়েছিল উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন-কে৷ আরও একটি বিষয়ে উল্লেখযোগ্য হয়ে উঠেছিল এই বৈঠক৷ এখান থেকেই বরফ গলতে শুরু করেছিল ওয়াশিংটন ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যেও৷ এরপর প্রকাশ্যে আসে যুযুধান দু’পক্ষ অর্থাৎ ট্রাম্প ও কিমের বৈঠকের খবর৷ শোরগোল পড়ে যায় আন্তর্জাতিক মহলে৷ দীর্ঘ টানাপোড়েনের পরে ঠিক হয় ‘নিউট্রাল ভ্যেনু’ সিঙ্গাপুরে ১২ জুন হবে এই ঐতিহাসিক বৈঠক৷ এরই মাঝে সৃষ্টি হয় আরও প্রতিকূলতা৷ তাদের না জানিয়ে আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার বায়ুসেনা মহড়া করলে ক্ষোভ প্রকাশ করে উত্তর কোরিয়া৷ পাশাপাশি চিনা প্রসিডেন্ট জিংপিংয়ের সঙ্গে কিম বৈঠক করলে তাতেও রেগে যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প৷ এমন টানাপোড়েনের অবস্থায় আশঙ্কার মেঘ জমতে থাকে ১২ জুনের বৈঠককে কেন্দ্র করে৷ তবে সম্প্রতি হোয়াইট হাউস থেকে নিশ্চিত করা হয় নির্দিষ্ট দিনে ও নির্দিষ্ট সময়েই হচ্ছে বিশ্বের দুই পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রের কাঙ্খিত বৈঠক৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement