সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডায়মন্ড প্রিন্সেসের পর করোনার গ্রাসে আরেক প্রমোদতরী। ‘গ্র্যান্ড প্রিন্সেস’ নামে মার্কিন জাহাজের এক যাত্রী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন মাঝ সমুদ্রেই। এনিয়ে আমেরিকায় করোনার বলি ১১। আর তারপরই ক্যালিফোর্নিয়ায় ‘জরুরি অবস্থা‘ জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। আটকে দেওয়া হয়েছে হাওয়াই থেকে সান ফ্রান্সিসকোগামী ‘গ্র্যান্ড প্রিন্সেস’কে। জাহাজটির কেবিনেই আক্রান্তদের জন্য তৈরি হয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ড। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কের পারদ চড়ছে মার্কিন মুলুকে।
গত মাসে মেক্সিকো থেকে আমেরিকায় ফিরে ‘গ্র্যান্ড প্রিন্সেস’ নামের বিলাসবহুল জাহাজে সওয়ার হন বছর একাত্তরের এক ব্যক্তি। তিনি আদতে ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা। প্রায় ২৫০০ যাত্রী ও কেবিন ক্রু নিয়ে হাওয়াই থেকে সান ফ্রান্সিসকো যাচ্ছিল জাহাজটি। মাঝপথেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন মেক্সিকো ফেরত ওই প্রৌঢ়। তড়িঘড়ি জাহাজ থামিয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর। তিনি মেক্সিকো থেকেই Covid-19 ভাইরাসে সংক্রমিত হন বলে অনুমান চিকিৎসকদের। আর তাঁর থেকেই জাহাজের অনেকের শরীরে সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। এগারোশরও বেশি ক্রু মেম্বার এবং যাত্রীদের সুরক্ষিত রাখতে মাঝপথেই থামিয়ে দেওয়া হয়েছে জাহাজটিকে। আপাতত জাহাজের কেবিনেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছে অন্তত ১০ জনকে। Covid-19 পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে।
‘গ্র্যান্ড প্রিন্সেস’-এ মেক্সিকো ফেরত প্রচুর যাত্রী রয়েছেন। আটকে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করতে দ্রুত ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেখানে মেডিক্যাল টিম পাঠিয়ে যাত্রীদের শারীরিক পরীক্ষা করা হবে বলে খবর। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর জানিয়েছেন, গোটা দেশে প্রায় ১৫০ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের জীবাণু মিলেছে। মৃত্যুর সংখ্যাও নেহাৎ কম নয়। এই অবস্থায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ক্যালিফোর্নিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করা ছাড়া উপায় নেই।
এর আগে ফেব্রুয়ারির গোড়া থেকে জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে আটকে ছিল বিলাসবহুল যাত্রীবাহী জাহাজ ‘ডায়মন্ড প্রিন্সেস’। সেখানে বেশ কয়েকজন ভারতীয় ছিলেন। করোনা আতঙ্ক নিয়ে বেশ কয়েকদিন তাঁরা কাটিয়েছেন ওই জাহাজেই। পরে ভারতীয় বায়ুসেনা বাহিনীর বিমান গিয়ে সেখান থেকে তাঁদের উদ্ধার করে। এবার একই পরিস্থিতিতে ‘গ্র্যান্ড প্রিন্সেস’। তবে এই জাহাজের উদ্ধারকাজ তুলনায় দ্রুত হবে বলে আশা যাত্রীদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.