সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের আরব মুলুকে অত্যাচারের শিকার ভারতীয়। মধ্যপ্রাচ্যের ওমানের মাসকটে অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরী জেলার বাসিন্দা গঙ্গারত্নম আপ্পারাও নামে এক মহিলা দিনের পর দিন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে তাঁর পরিবার জানিয়েছে। মাসকটের সোহরে এক ব্যবসায়ীর কাছে পরিচারিকার কাজ করতে গিয়েছিলেন গঙ্গা। কিন্তু মালিকের অত্যাচার দিন দিন বেড়েই চলেছে। কিছুতেই দেশে ফিরতে পারছেন না ওই মহিলা, এমনই অভিযোগ উঠেছে। কিছুদিন আগে স্ত্রীর সঙ্গে অত্যাচারের কথা জানতে পেরে শয্যাশায়ী হয়ে গিয়েছেন স্বামী ইনাকোতি আপ্পারাও।
জানা গিয়েছে, দু’বার ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন গঙ্গা। কিন্তু স্থানীয় পুলিশ দুবারই তাঁকে খুঁজে বের করে ফের ওই ব্যবসায়ীর কাছে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। যদিও প্রতিবারই তাঁকে ভারতীয় দূতাবাসে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেন গঙ্গা। গঙ্গার স্বামী জানিয়েছেন, ভিপার্থী কুমার নামে এক মহিলার সঙ্গে বছরখানেক আগে গঙ্গার পরিচয় হয়। তখন ওই মহিলাই গঙ্গাকে আরব মুলুকে কাজ করার কথা বলেন। পেশায় কৃষক আপ্পারাওয়ের আর্থিক অনটনের কথা ভেবেই ওই মহিলার বুদ্ধিতে বিদেশে কাজ করতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন গঙ্গা। এরপর ভিপার্থী দাসারি বাবু রাও নামে এক এজেন্টের সঙ্গে গঙ্গার পরিচয় করিয়ে দেন। সেই এজেন্টই গঙ্গাকে মাসকটে কাজ করতে পাঠান। মাসকটে যাওয়ার তিন মাস পরেও গঙ্গার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ না হওয়ায় চিন্তায় পড়ে যান পরিজনরা। বড় ছেলে নগেন্দ্র বাবু একাধিক বার গঙ্গা ও এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু দুজনের সঙ্গেই যোগাযোগ হয় না। তিন মাসেরও বেশি সময় পর একবার ফোন করেন গঙ্গা। তিনি ৩৫,০০০ টাকাও পাঠান বাড়িতে। এরপর আরও কয়েকবার কথা হয় গঙ্গার সঙ্গে।
সম্প্রতি, গঙ্গা ফোন করে পরিবারকে জানান, তাঁর সঙ্গে অমানসিক অত্যাচার করা হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাঁকে কাজ করতে বাধ্য করা হত এবং বাড়ির বাইরে তাঁকে শুতে দেওয়া হত। তাঁর আগে যে পরিচারিকা ছিলেন তিনি নাকি আত্মহ্ত্যা করেছিলেন। এতেই আরও ভয় পেয়ে যান স্বামী আপ্পারাও। বর্তমানে গঙ্গার পরিবার ভারতীয় দূতাবাস এবং বিদেশ মন্ত্রকের দ্বারস্থ হয়েছে। কোনওমতে যাতে গঙ্গাকে দেশে ফেরানো হয় সেই আবেদনই রেখেছেন পরিজনরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.