Advertisement
Advertisement
Donald Trump

পর্নস্টারকে ঘুষকাণ্ডে আরও বিপাকে ট্রাম্প, সাজা ঘোষণায় স্থগিতাদেশ দিল না আদালত

আমেরিকার শীর্ষ আদালতে খারিজ ট্রাম্পের আবেদন।

American Supreme Court rejects Donald Trumps bid to delay sentencing in hush money case

ফাইল ছবি

Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:January 10, 2025 1:47 pm
  • Updated:January 10, 2025 2:00 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পর্নস্টার স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন আগেই। তবে এই মামলায় সাজা ঘোষণার উপর স্থগিতাদেশ চেয়েও হতাশ হতে হল ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। শুক্রবার তাঁর আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আমেরিকার শীর্ষ আদালত। ফলে প্রেসিডেন্ট পদে বসার আগে বিপদ আরও বাড়ল হবু মার্কিন প্রেসিডেন্টের।

২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে পর্নস্টার স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। গত বছরের মে মাসে প্রথম প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে নিউ ইয়র্কের আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। তবে ভোটে লড়ার ক্ষেত্রে তেমন কোনও বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি তাঁকে। কারণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য সাজা ঘোষণা স্থগিত রেখেছিল আদালত। এরপর রেকর্ড ভোটে জয়লাভ করেন ট্রাম্প। নির্বাচন জেতার পরই এই মামলার শাস্তি থেকে অব্যহতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করে আদালতের তরফে জানানো হয়, রাষ্ট্রপতি পদে বসলেও রক্ষাকবচের কোনও প্রশ্নই নেই।

Advertisement

ট্রাম্পের আইনজীবীদের তরফে আদালতে দাবি করা হয়, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর আইনি রক্ষা কবচ রয়েছে। শুক্রবার এই মামলা শীর্ষ আদালতে আদালত জানায়, প্রেসিডেন্টদের অফিসিয়াল কাজকর্মের জন্য আইনি রক্ষাকবচের কথা বলা রয়েছে ঠিকই তবে এই মামলায় তা গ্রহণযোগ্য নয়। ট্রাম্পের আইনজীবীরা ২০ জানুয়ারি অর্থাৎ ট্রাম্পের শপথগ্রহণ পর্যন্ত সাজা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানালেও তা খারিজ করে আদালত। যদিও মার্কিন আইন অনুযায়ী ট্রাম্পের কারাদণ্ড হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই নেই। সেক্ষেত্রে আর্থিক জরিমানা করা হতে পারে ট্রাম্পকে।

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে ট্রাম্পের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক হয়েছিল বলে দাবি করেন স্টর্মি। অভিযোগ, এই ঘটনায় ট্রাম্পের মুখ বন্ধ রাখতে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে পর্নতারকাকে এক চুক্তিতে সই করানো হয়েছিল। সেই চুক্তিতে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। শুধু তাই নয়, টাকা দেওয়া বিষয়টি গোপন রাখতে ট্রাম্প ব্যবসায়িক সংস্থার নথিপত্রে জালিয়াতি করে বলেও অভিযোগ। ট্রাম্পের প্রাক্তন আইনজীবী মাইকেল কোহেন দাবি করেছিলেন, তিনিই ট্রাম্পের হয়ে স্টর্মি এবং অন্য এক মডেল কারেনের কাছে অর্থ পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেছিলেন। যদিও গোটা বিষয়টি শুরু থেকেই অস্বীকার করেন ট্রাম্প। এমনকি রাজনৈতিক চক্রান্তেরও অভিযোগ করেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement