সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর ‘অত্যাচারের’ ঘটনার নিন্দা করল আমেরিকার বিদেশ দপ্তর। কদিন আগে ভারত সফরে মার্কিন গোয়েন্দা অধিকর্তা তুলসী গাবার্ড বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের তীব্র নিন্দা করেছিলেন। ওই মন্তব্যকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলেছিল মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার। পালটা মার্কিন প্রশাসন জানিয়ে দিল, ভারতের প্রতিবেশী দেশের ঘটনা নিন্দনীয়। ঘটনা প্রবাহের দিকে নজর রাখা হচ্ছে।
বুধবার বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, “যে কোনও দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের উপর হিংসা কিংবা অসহিষ্ণুতার ঘটনার আমরা নিন্দা জানাই। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সে দেশে বসবাসকারী সকলের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে পদক্ষেপ করলে আমরা স্বাগত জানাব। বর্তমানে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি আমরা।”
উল্লেখ্য, ভারত সফরে এসে বাংলাদেশে ইসলামি সন্ত্রাস ও সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গাবার্ড। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন, খুনের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান-সহ সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের ঘটনা নিয়ে চিন্তিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং মার্কিন সরকার।” ইসলামিক মৌলবাদের উত্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ইসলামপন্থী সন্ত্রাসবাদীদের হুমকি এবং বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীর বিশ্বব্যাপী কার্যকলাপ একটিই আদর্শ এবং লক্ষ্যের দিকে পরিচালিত। তা হল ইসলামিক খিলাফত।” এরপরেই হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ইসলামিক মৌলবাদীদের চিহ্নিত করে তাদের বিচুর্ণ করতে বদ্ধপরিকর ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এই মন্তব্যেই তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে ঢাকা। সোমবার রাতেই এই ইস্যুতে পালটা বিবৃতি দেয় ইউনুস সরকার। যেখানে তুলসীর মন্তব্যকে ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে পালটা তোপ দাগা হয়। যেখানে বলা হয়, “অত্যন্ত উদ্বেগ ও দুঃখের সঙ্গে আমরা জানাচ্ছি, মার্কিন ডিএনআই প্রধান বাংলাদেশ সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন তা বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন। তাঁর মন্তব্য বাংলাদেশের ভাবমূর্তি এবং সুনামের জন্য ক্ষতিকর।” যদিও বাংলাদেশের আপত্তি সত্ত্বেও এবার মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.