Advertisement
Advertisement

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধেই ধ্বংস হবে পৃথিবী, বিস্ফোরক দাবি চিনা ধনকুবেরের

'দিনে চার ঘন্টা করে কাজ করবে মানুষ, সপ্তাহে থাকবে চার দিন।'

Alibaba’s Jack Ma warns evolving technology could cause World War III
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 23, 2017 3:29 am
  • Updated:September 19, 2023 5:54 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনা ধনকুবের ও ব্যবসায়ী জ্যাক মা স্পষ্ট জানালেন, পৃথিবী এখন ধ্বংসের মুখে। কিন্তু কী কারণে তছনছ হয়ে যেতে পারে আমাদের গ্রহ? উত্তরে ই-কমার্স সংস্থা আলিবাবার চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, প্রযুক্তির উন্নয়নই পৃথিবীর শেষ ডেকে আনবে। প্রযুক্তির চাপে চাকরির বাজারে নেমে আসবে তীব্র মন্দা, যার ফলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লেগে যাবে এবং পৃথিবীর অন্তিম লগ্ন এসে উপস্থিত হবে।

সিএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জ্যাক বলেছেন, ভবিষ্যতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও রোবটের জন্য চাকরি হারাতে পারেন বহু মানুষ। তাই বিশ্বনেতাদের উচিত, এখনই মানুষকে সেই বিষয়ে সচেতন করা ও তাদের দুঃখ ভাগ করে নেওয়া। তিনি বলছেন, “প্রযুক্তির জোয়ার প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ডেকে এনেছিল। দ্বিতীয়বার প্রযুক্তির বিপ্লব ডেকে এনেছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। ইতিমধ্যেই তৃতীয় প্রযুক্তিগত বিপ্লব শুরু হয়ে গিয়েছে।”

Advertisement

[সীমান্তে পাক অনুপ্রবেশের ছক বানচাল, সংঘর্ষে শহিদ ২ জওয়ান]

আলিবাবার চেয়ারম্যান আরও জানিয়েছেন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এমন একটি বিষয় যা নিয়ে তিনি বিশ্ব জুড়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন। স্থানীয় প্রশাসন, রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছেন। শুনতে অনেকটা সিনেমার মতো মনে হলেও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কিন্তু মানুষের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জ্যাক-সহ অন্যান্য শিল্পপতি ও গবেষকরা। ‘টার্মিনেটর’ সিরিজের সিনেমার কথা মনে পড়ে? ঠিক ওই সিনেমার মতোই মানুষের সঙ্গে যন্ত্রের মুখোমুখি সংঘাত বেধে যেতে পারে বলে মনে করেন অনেকে। জ্যাক বলছেন, “আমরা যদি এখনই সতর্ক না হই, তাহলে সমস্যা হতে পারে।” অবশ্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে সাফল্যের সঙ্গে ব্যবহার করতে পারলে মানুষের প্রচুর সময় বাঁচবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে মানুষ আরও কম সময়ে প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে ফেলতে পারবেন।

আগামী ৩০ বছরে পৃথিবীর কর্মসংস্কৃতি আমূল বদলে যাবে বলেও মনে করেন জ্যাক। তাঁর বক্তব্য, “আমি মনে করি আগামী ৩০ বছরের মধ্যে মানুষ দিনে চার ঘন্টার বেশি কাজ করবেন না। হতে পারে একটি সপ্তাহে চারটি করে দিন থাকবে।” নিজের বক্তব্যের সমর্থনে যথেষ্ট যুক্তিও দেখিয়েছেন এই চিনা শিল্পপতি। তিনি বলছেন, “দেখুন আমার দাদু প্রতিদিন ১৬ ঘন্টা করে কাজ করতেন ও ব্যস্ত থাকতেন। সেখানে আমরা দিনে ৮ ঘন্টা করে কাজ করি, তাও সপ্তাহে পাঁচদিন। এতেই ভাবি, আমরা বড্ড ব্যস্ত।” তবে মেশিনকে মানুষ তৈরির যে উদ্যোগ শুরু হয়েছে, সেই প্রতিযোগিতাকে তিনি খুব একটা পছন্দ করেন না বলেও জানিয়েছেন এশিয়ার ধনীতম মানুষটি। তবে প্রযুক্তিগত বিপ্লবের কারণে যে পৃথিবীর বুকে ঘোর বিপদ ঘনিয়ে আসছে, সেটা নিয়ে এই প্রথম আশঙ্কা প্রকাশ করলেন না জ্যাক! এর আগে এপ্রিল মাসেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, ইন্টারনেটের জন্য বিশ্ব অর্থনীতিতে বড়সড় বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে।

jack-ma

[‘পাকিস্তানের জয়ে উল্লাস করলে সে দেশেই থাকা উচিত’]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement