Advertisement
Advertisement

রানওয়ে থেকে ছিটকে হ্রদে পড়ল বিমান, তাজ্জবভাবে অক্ষত সব যাত্রী

আকাশপথে নয়, জলপথে বিমান সফর।

Air Niugini plane ended up in the water near Chuuk International Airport
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:September 28, 2018 3:42 pm
  • Updated:September 28, 2018 3:42 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় আছে, রাখে হরি মারে কে! এই শতাব্দী-প্রাচীন প্রবাদের জলজ্যান্ত উদাহরণ দেখা গেল ওশিয়ানিয়ার ছোট্ট দ্বীপ মাইক্রোনেশিয়াতে। রানওয়েতে নামতে গিয়েই দুর্ঘটনার মুখোমুখি বিমান। মাইক্রোনেশিয়ার ওয়েনো বিমানবন্দরে আজ সকাল সাড়ে ৯ টা নাগাদ অবতরণের কথা ছিল উড়ানটির। কিন্তু রানওয়েতে সঠিকভাবে নামতে পারেনি বিমানটি। অজ্ঞাত কারণে তা দুর্ঘটনার শিকার হয়। রানওয়ে থেকে ছিটকে বেশ কিছুটা দূরে চুক লাগুন নামের একটি হ্রদে গিয়ে পড়ে বিমানটি। হ্রদের ভিতরে বেশ কিছুটা দূরে গিয়ে ভাসতে থাকে এয়ার নিউগিনির এয়ারবাসটি।

[ন’মাস বেতন নেই, খাদ্যাভাবে জাহাজে আটকে ৮ ভারতীয় নাবিক]

এয়ার নিউগিনি নামের বিমান সংস্থাটির তরফে জানানো হয়েছে, ঠিক কী কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তা স্পষ্ট নয়। কিন্তু দুর্ঘটনায় বিমানের কোনও যাত্রী বা বিমানকর্মীদের কোনও ক্ষতি হয়নি। এমনকি তেমন উল্লেখযোগ্য চোট-আঘাতও হয়নি কারও। এতবড় দুর্ঘটনার পরও যেভাবে প্রাণে বেঁচে গেলেন বিমানের সব যাত্রী তাতে অবাক হচ্ছেন অনেকেই। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দুর্ঘটনার পর সাধারণত বিমানে আগুন লেগে যায়। কিন্তু যেহেতু এক্ষেত্রে বিমানটি হ্রদের জলে নেমে গিয়েছিল তাই আগুন লাগেনি। আর স্থানীয়দের তৎপরতায় বেঁচে গিয়েছেন যাত্রীরাও। বিমানটি হ্রদে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ছোট ছোট নৌকাতে করে যাত্রীদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা।

[মালদ্বীপের মসনদে ‘ভারত-বন্ধু’ সলিহ, আশঙ্কার কালো মেঘ চিনের কপালে]

বিমানসংস্থা এয়ার নিউগিনি জানিয়েছে বিমানটিতে মোট ৪৭ জন ছিলেন। এদের মধ্যে ৩৫ জন যাত্রী আর ১২ জন বিমানকর্মী। তাঁরা প্রত্যেকেই সুস্থ আছে। জানা গিয়েছে, ওই বিমানটিই বছরখানেক আগে আরও একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিল। তা সত্ত্বেও বিমানটি কেন ব্যবহার করা হচ্ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement