সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির নির্বাচনী স্লোগান এবার খোদ আমেরিকার স্বরাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পেওর মুখে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসায় বুধবার পম্পেও বলেন, ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়।’
চলতি মাসের শেষের দিকেই ভারতে আসছেন আমেরিকার ‘সেক্রেটারি অফ স্টেট’ মাইক পম্পেও। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করতেই তাঁর এই সফর।বুধবার ‘ইউএস-ইন্ডিয়া বিজনেস কাউন্সিল’-এর ‘ইন্ডিয়া আইডিয়া সামিট’-এ বক্তব্য রাখেন পম্পেও। ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের উপর জোর দিয়ে এদিন তিনি বলেন, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মোদি থাকলে সবই সম্ভব। ওই কথার উপর ভিত্তি করেই আমি আশা করব দুই দেশ এক নতুন দিগন্ত দেখবে।” সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচন নিয়ে পম্পেও বলেন, “নির্বাচনের ফলাফল দেখে অনেকেই অবাক হলেও, আমি হইনি। আমি ও আমার টিম ভারতের রাজনৈতিক গতিবিধির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছিলাম। ফলে মোদিই যে ফের ক্ষমতায় আসবেন তা আমাদের জানা ছিল। চা বিক্রেতার ছেলে থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে মোদি দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি অন্য ধাতুতে গড়া। আজ তিনি বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশের নেতা।”
তবে দু’দেশের সম্পর্ক গোটাটাই যে মাধুর্যে ভরা নয়, তা ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন দুঁদে কুটনৈতিক পম্পেও। প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য-সহ একধিক ইস্যুতে দিল্লি ও ওয়াশিংটনের মধ্যে চাপানউতোর চলছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। তবে একই সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সে সব সমাধান করা যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, রাশিয়া কাছ থেকে এস-৪০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম কিনতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এই পদক্ষেপের ঘোর বিরোধিতা করছে আমেরিকা। পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের নানা বিষয় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্টের। আমেরিকা থেকে আমদানি করা মোটর সাইকেলের ওপর শুল্ক কমিয়ে অর্ধেক করেছে ভারত। আগে একশো শতাংশ শুল্ক নেওয়া হত। এখন নেওয়া হচ্ছে ৫০ শতাংশ। কিন্তু তাতেও খুশি নন ট্রাম্প। এদিকে, চিনের ভয়ে যেমন নয়াদিল্লিকে চটানো যাচ্ছে না, তেমনই মার্কিন স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করতেও চাইছে না ট্রাম্প প্রশাসন। তারই রেশ পড়ছে দুই শীর্ষ কর্তার মন্তব্যে, বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকদের একাংশ।
[আরও পড়ুন: বিবাদের কেন্দ্রবিন্দু বিখ্যাত হার্লে ডেভিডসন, ভারতের উপর ক্ষিপ্ত ট্রাম্প]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.