ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেষ রক্ষা হল না। নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) প্রধানমন্ত্রীর মুখের হাসি মিলিয়ে গেল মিলিয়ে গেল মুখেই। ওশিয়ানিয়ার এই ছোট্ট দেশে নতুন করে ২ জনের শরীরে মিলল করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি। এই দুইজনই সম্প্রতি ব্রিটেন থেকে ফিরেছিলেন বলে জানা যায়।
আমেরিকা, ব্রিটেনের মতো তথাকথিত শক্তিধর দেশ যেটা পারেনি, সেটাই করে দেখাতে পেরেছে বলে ধরে নিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। মাত্র তিন মাসের মধ্যে পুরোপুরি করোনামুক্ত হয়ে উঠেছিল বলেও ঘোষণা করেছিল ওশিয়ানিয়ার এই ছোট্ট দেশ। তবে সেই ঘোষণাকে মিথ্যে প্রমাণিত করে ২ মহিলার শরীরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধরা পড়ল মারণ ভাইরাসের উপস্থিতি। দেশ থেকে করোনা মুক্তির আনন্দে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্দা আর্দের্ন (Jacinda Ardern)। ফলে গত সপ্তাহেই তিনি সীমান্ত থেকে সমস্ত বিধিনিষেধ তুলে নেন। সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিয়মেও ছাড় দেন। তিনমাস ধরে দেশজুড়ে লকডাউনের যে কড়া বিধি দেশবাসীকে মানতে বাধ্য করেছিলেন। তার সবটাই এক লহমায় তুলে দিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছিলেন। আর তাতেই ঘটল সর্বনাশ! নিউজিল্যান্ডবাসীর স্বস্তির জীবনে ফের ঢুকে পড়ল করোনা ভাইরাস। তাই ফের শক্তহাতে দেশের হাল ধরতে এগিয়ে এলেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্দা আর্দের্ন।
সীমান্ত খুলে দেওয়ায় দেশে ফের বাড়তে পারে সংক্রমণের মাত্রা এমনটা আঁচ করে আধিকারিকদের সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেন। জেসিন্দা আর্দের্নের মতে, “সীমান্ত খুলে দেওয়ায় অনেকেই দেশে ফিরতে চাইবে। তাতেই ফের দেখা দিতে পারে সংক্রমণ। তাই মাত্র কয়েকজনকে বিশেষ শর্তে দেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।”
জানা যায়, আক্রান্ত দুই মহিলা সম্প্রতি ব্রিটেনের ওয়েলিংটন (Wellington) থেকে ফেরেন। অসুস্থ বাবা-মাকে দেখতে গিয়ে সেখানে তাঁরা আটকে পড়েন। লকডাউনে তাঁদের বিশেষ অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ব্রিটেনে যাওয়ার জন্য। এরপর ৭ জুন তাঁরা দেশে ফেরেন। তারপরেই তাঁদের শরীরে রোগের উপসর্গ দেখা দেয়। বর্তমানে এই দুই আক্রান্তকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এপর্যন্ত দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ১,৫০৬, মৃতের সংখ্যা ২২।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.